নেশার ঘোরে বন্ধুদের সামনে স্ত্রীকে খুন করার কথা বলেই ফেললেন স্বামী, তারপরই চম্পট
সিঁড়ির নীচে খোঁড়াখুড়ি শুরু করতেই এক মহিলার দেহ বেরিয়ে আসে

তিয়াসা মিত্র : মদের নেশাতে বন্ধুদের সামনে তৃতীয় স্ত্রীকে খুনের করেছেন বলে ফেলে। প্রথমে কেউ বিশেষ গুরুত্ব দেননি, ভেবেছেন সকলে নেশার বশে ভুল বকছে সে। কিন্তু সেই কথা বলে ফেলার পর তার মুখের হাবভাব বদলে যাওয়াতে কয়েকজন বেপারটি লক্ষ্য করে এবং নদিয়ার ধানতলা থানায় জানান তাঁরা। অন্য দিকে, নেশা কাটতেই রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন বড় গন্ডগোল করে ফেলেছেন। এবং সেটি আঁচ করতে পেরেই আর দেরি না করেই গা ঢাকা দেন।
স্থানীয় লোকেরা জানান, রবীন্দ্রনাথ মদ জুয়াতে প্রথম থেকেই আসক্ত। এই নিয়ে তিনটি বিয়ে করে সে এবং প্রতিটি স্ত্রী তার এই নেশা করা নিয়ে প্রতিবাদ করতে রবীন্দ্ৰনাথ গায়ে হাত তোলে এবং এর আগের দুই স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বছরখানেক আগে তৃতীয় বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথ। নেশা করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে তৃতীয় স্ত্রী রিম্পার প্রায়ই ঝামেলা হতে শুরু করে। দিন পনেরো আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। তার পর থেকে রিম্পার আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
কিন্তু বৃহস্পতিবারই বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। খবর পেয়েই পুলিশ রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে আসে। সঙ্গে ছিলেন রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। সিঁড়ির নীচে খোঁড়াখুড়ি শুরু করতেই এক মহিলার দেহ বেরিয়ে আসে। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করার পর দেহ লোপাটের জন্য সিঁড়ির নীচে পুঁতে রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তার পর দেহ লোপাটের জন্য কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে তার উপর শৌচাগার তৈরি করেন। রবীন্দ্রনাথের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।