অধ্যাপনা ছাড়লেন বৈশাখী, চক্রান্তের অভিযোগ বর্তালো ফিরহাদ হাকিম এর উপর
চাকরি ছাড়লেন বৈশাখী আগামী ২২ বছরের হেনস্থার আশঙ্কায়

চৈতালি বর্মন : চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়(Baisakhi Banerjee)। মিল্লি আল আমিন কলেজের প্রাক্তন টিচার-ইন-চার্জের পদ থেকে সম্প্রতি তাঁকে বদলি করা হয়েছিল রাজা রামমোহন রায় কলেজে। বলা হয়েছিল জনস্বার্থে তাঁর এই বদলি কার্যকর করা হল। আগেই নিউজ১৮ বাংলাকে বৈশাখী জানিয়েছিল যে, এই বদলির সিদ্ধান্ত তিনি মানতে পারবেন না। এবার তার প্রতিবাদেই সরাসরি ইস্তফা দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তফাপত্র গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। ইস্তফাপত্রের কপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী এবং উচ্চশিক্ষা সচিবের কাছেও। প্রশ্ন হচ্ছে, বৈশাখীর এই ইস্তফাপত্র কি গ্রহণ করা হবে?
নিয়ম বলছে, ইস্তফা এই রকম ভাবে দেওয়া যায় না। তার কারণ যেহেতু তাঁকে বদলি করা হয়েছে রামমোহন কলেজে, তাই রামমোহন কলেজ কাজে যোগ দিতে হবে। তারপরে সেখানকার পরিচালন সমিতির কাছে ইস্তফা দিতে হবে। অর্থাত্ ইস্তফা দেওয়ার একটা নির্দিষ্ট প্রটোকল রয়েছে, সেই প্রটোকলের বাইরে গিয়ে ইস্তফা না নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যেহেতু তাঁকে বদলি করা হয়েছে রামমোহন কলেজে, তাই রামমোহন কলেজ কাজে যোগ দিতে হবে। তারপরে সেখানকার পরিচালন সমিতির কাছে ইস্তফা দিতে হবে। অর্থাত্ ইস্তফা দেওয়ার একটা নির্দিষ্ট প্রটোকল রয়েছে, সেই প্রটোকলের বাইরে গিয়ে ইস্তফা না নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।ঘটনার সূত্রপাত ৩ ডিসেম্বর।
ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim) বিরুদ্ধে অভাব্যতার অভিযোগে সরব বৈশাখী শোভন-সঙ্গে গিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে। সেখানেই যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তাঁর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে বদলি করা হয়। বৈশাখী তখন বলেন তিনি রাজরোষে পড়েছেন। যদিও ইস্তফা দিতে পারেন এমন ইঙ্গিত তিনি দেননি। বৈশাখী এই পদক্ষেপকে দেখছিলেন কেরিয়ার শেষ করার একটি চেষ্টা হিসেবে।নিউজ১৮ বাংলাকে তিনি বলেছিলেন শোভনকে শোভনের দফতর ছাড়তে হয়েছিল। আমাকেও আমার কলেজ ছাড়তে হবে। তা বলে ইস্তফা!