ব্যাংক প্রতারণা কাণ্ডে এবার ওই যুবকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো ৬.৯৫ কোটি টাকা
বুধবার রাতে বেহালার বাসিন্দা গৌরব শেঠওয়ানি নামে ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা, শুরু হয় তল্লাশি।

পল্লবী কুন্ডু : ঘটনার সূত্রপাত হয় চলতি বছরের আগস্ট মাসে এবং তারপর থেকে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় সেই ঘটনার নয়া মোড়। শেকসপীয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের করা হয় আইসিআইসিআই ব্যাংকের তরফ থেকে। তারা অভিযোগ তোলে, ইংল্যান্ডের বাসিন্দা তাদের এক গ্রাহক যিনি ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার।কোনও এক চক্র তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৭০ লক্ষ টাকা উধাও করে দিয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্ত শুরুর কিছুদিনের মধ্যে বেহালার বাসিন্দা এক যুবকের নাম উঠে আসে এবং নাম উঠে আসার পর থেকেই সেই ব্যক্তি চলে আসে গোয়েন্দাদের নজরে।
এরপর বুধবার রাতে বেহালার বাসিন্দা গৌরব শেঠওয়ানি নামে ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা, শুরু হয় তল্লাশি। সেই তল্লাশিতেই উঠে আসে আশ্চর্যজনক খবর।ঘরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মেলে প্রচুর নগদ টাকা। আলমারি থেকে বিছানা, এমনকী চায়ের পেটিতেও ছিল টাকার বান্ডিল! কাউন্টিং মেশিনে উদ্ধার হওয়া টাকা গুণে দেখা যায় সেখানে ৬.৯৫ কোটি টাকা রয়েছে।এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কিন্তু তারপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে প্রশ্নটি ওঠে তা হলো, এই যুবক কোথা থেকে এতো টাকা তার ঘরে সংরক্ষণ করে রেখেছে ? পাশাপাশি তারা জানার চেষ্টা করে যে সে কিভাবে এতো টাকা নিজের কব্জায় করতো ? জানা গিয়েছে, গ্রাহকদের ফোন করে গৌরব জানাত, তাঁদের অ্যাকাউন্টে সমস্যা রয়েছে। কিছু নথি ওই মুহূর্তে না মিললে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর গ্রাহকদের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলত অভিযুক্ত। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে থাকা সমস্ত তাকে সে আত্মসাত্ করত।
তবে এই যুবকের সাথে আর কারা কারা থাকতো ? বা এদের মূল মাথা ঠিক কে ? কতজন মানুষকে ঠকিয়ে এভাবে তাদের টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করতো যা জানার জন্যই এই মুহূর্তে চলছে তদন্ত।