
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনই জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও কুয়াশা এবং উত্তর-পশ্চিমী ঠান্ডা-শুষ্ক হাওয়া ইতিমধ্যেই বইতে শুরু করেছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টায় বিশেষ করে শীতের শুরুতে সবথেকে বেশি ভুগতে হয় মানুষকে চর্মরোগে। ঠান্ডা শুস্ক হাওয়া ত্বকের আর্দ্রতা ও তৈলাক্তভাব টেনে নেয়। যা অবহেলার কারণে বেড়ে গিয়ে বড়ো কোনো চর্মরোগ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
শীতকালে আবহাওয়াজনিত কারণে ত্বকের যে যে সমস্যাগুলি হতে পারে:
ডার্মাটাইটিস— শুষ্ক চুলকানি হয় ত্বকে যার সঠিক চিকিৎসা না করলে ঘা-এর মতো আরও বড়ো কোনো চর্মরোগ হতে পারে। এটি সংক্রমণকারীও হতে পারে।
রোসেসিয়া— একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ যা ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি, লাল দাগ সৃষ্টি করে।
কোল্ড আর্টিকেরিয়া— এই বিরল চর্মরোগ ঠান্ডা জল বা ঠান্ডা হওয়ার সংস্পর্শে আসলে ত্বক ফুলে, চুলকানি বা আমবাতের মতো হয়ে যায়, তবে ১-২ ঘন্টা স্থায়ী হয়।
সোরিয়াসিস— শীতকালে মানসিক চাপ, ধূমপানের কারণে এই ধরণের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়া সোরিয়াসিসকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
এইসমস্ত রোগের ক্ষেত্রে ত্বক শুকিয়ে গেলে বার বার ময়শ্চারাইজ করা বা ত্বককে আর্দ্র রাখতে হবে। ত্বকের প্রদাহ প্রশমিত করতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ বা ক্রীম ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও শীতকালে ত্বকের সামান্য যত্ন ও জীবনশৈলীতে সামান্য পরিবর্তন আপনাকে চর্মরোগ থেকে দূরে রাখতে পারে।