একটু সাবধানে থাকুন শিশু থেকে বয়স্করা : দুয়ারে অ্যাডিনোভাইরাস
সচেতন না হলেই বহু মূল্য দিতে হতে পারে , সার্বিক সচেতনতার ভীষণ অভাব

নিউজ ডেস্ক : এক করোনা বিপদ কাটিয়ে আবার এডেনোভাইরাস (Adenovirus) . মূলত এটি একটি ভাইরাস যা মানবদেহের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। এই ভাইরাসটি সাধারণত মানব দেহে জ্বর, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, পেট খারাপ এবং অন্যান্য সাধারণ অসুস্থতা উপসর্গ করতে পারে। যদিও বিপদ কম প্রথমে মনে করলেও অবহেলায় মৃত্যুর মুখে নিয়ে যেতে পারে।
অনেকেই ভাবছেন যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের পরে আসা এডেনোভাইরাস (Adenovirus), বোধ হয় এটা ওরই উত্তরসূরী । তবে ভাবনাটা একটু ভুল হবে , এডেনোভাইরাস ব্যবহার করে কিছু কোভিড-১৯ টিকা উন্নয়ন করছে। এই টিকা মূলত কোভিড-১৯ ভাইরাসের একটি অংশ ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং এডেনোভাইরাস ব্যবহার করে এই ভ্যাকসিন ক্ষেত্রে প্রভাবশালী হয়েছে।
নজর রাখুন এই বিষয় গুলোতে :
এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে এবং ঘরে-ঘরে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই জ্বর-সর্দিতে ভুগছে, তাহলে কীভাবে অ্যাডিনোভাইরাসে লক্ষণগুলো চিহ্নিত করবেন?
অ্যাডিনোভাইরাস সাধারণত মানবকে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন একটি ভাইরাস এবং এর লক্ষণগুলো অনেকটা করোনা ভাইরাসের লক্ষণ গুলোর মতো। এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো নিম্নরূপ:
জ্বর: সাধারণত অ্যাডিনোভাইরাসে জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। জ্বরের তাপমাত্রা সাধারণত ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (38 ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার উপরে থাকে।
শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা অনেক সামান্য হতে পারে বা একটু বেশি হতে পারে। এটি উচ্চ শ্বাসপ্রশ্বাস হতে পারে এবং কখনও কখনও হাঁটার সময় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।
কাশি: কাশি সাধারণত অ্যাডিনোভাইরাসের একটি লক্ষণ। কাশি থাকলে নাকের সঙ্গে একটি চিকন পানির ঝর্ণা পাওয়া যেতে পারে।
গলাব্যথা: অ্যাডিনোভাইরাস সাধারণত গলাব্যথা উত্পন্ন করে না।