
নিজস্ব সংবাদদাতা : বেহালা পূর্বের মধ্যে বরোয় ১৩ রয়েছে সাতটি ওয়ার্ড। শুরুটা ঠিক ডায়মন্ড হারবার রোড সংলগ্ন চোদ্দ নম্বর বাসস্ট্যান্ড, সিরিটি শ্মশান, তারাতলা মোড় এই এলাকার মধ্যে পড়ে। এই অঞ্চলে প্রোমোটারের রাজত্বের দাপট শেষের ১৫ বছরে অনেকটাই বেশি। এর পাশাপাশি শেষের ৬ বছরে সিন্ডিকেট রাজও মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। যদিও সমগ্র কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে ভোল বদলেছে এলাকার। মেট্রো মানচিত্রে জায়গা করে নিলেও, তবুও জমা জলের ভোগান্তি আজও পোহাতে হয় বেহালার মানুষকে।
একটু পিছিয়ে যদি দেখি ২০১৫-র নির্বাচনে এই বরোতে সাত আসনেই জিতেছিল তৃণমূল। কোনও আসন পায়নি বাম ও কংগ্রেস বা বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখেও এই বরোতে সাত ওয়ার্ডেই এগিয়েছিল তৃণমূল।
সাতটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮ থেকে থেকে ৪০ এর ভোটার সব থেকে বেশি , প্রায় ৫১.২৩% . যে বিষয় গুলো একটু বেগ দিতে পারে সেটা হচ্ছে , নেতা দের অস্বাভিক সম্পত্তির পরিমান বেড়ে যাওয়া , ব্যবহার খুব খারাপ , করোনা সময়ে খুব বেশি পাওয়া যায় নি। এছাড়াও ক্লাব দখলে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ , তার সঙ্গে সিন্ডিকের দাপট সাধারণ মানুষের সাথে দূরত্ব তৈরি করেছে অনেকটাই। এর সাথে নিত্য সমস্যা পানীয় জল , রাস্তা ও ভ্যাট সমস্যা , খোলা নর্দমায় মশা মাছির সমস্যা সব মিলিয়ে কসমেটিক উন্নয়ন হলেও বাস্তবে আরো কিছু প্রত্যাশা করে সাধারণ মানুষ।
১২১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর দুপুরে গুলি চলে , যা সাধারণ মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করেছে। শোনা যাচ্ছিল এই সাতটি কেন্দ্র ৪ টি তে প্রার্থী পরিবর্তন হবে। এর কারণ বেশ কয়েকজন জনবিচ্ছিন্ন , অসুস্থ ও পরিবার তন্ত্র, ফলে প্রয়োজনে মানুষ সাহায্য পাইনি। কিন্তু শেষের ঘোষণাতে সব অঙ্ক বদলিয়ে যেইকার সেই , এর ফলে গোষ্ঠী দ্বন্ধে জেরবার। বিধানসভা নির্বাচনে অনেকেই পা বাড়িয়েছিলেন বিজেপি তে তাদের ভোল বদল হতে বেশি সময় লাগেনি , কিন্তু তাদেরই অনেকে আবার টিকিট পেয়েছে , এই নিয়ে গোষ্ঠী দ্বন্ধ চরমে। দলের একাংশের কথা দল ঠিক মূল্যায়ন করেনি এরকমই অভিযোগ।
প্রচারের মধ্যে প্রোমোটার,কন্ট্রাক্টর ও সিন্ডিকেটের দাপটে রাজনীতির মানুষ জনেরা অচিরেই বিদায় নিয়েছে , তাই জনমানসে অন্য প্রভাব পড়েছে। আর যত দিন যাচ্ছে এই প্রভাব দীর্ঘতর হচ্ছে। এখন দেখার, মানুষ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে কি চোরা স্রোতের দেখা পাওয়া যাবে ?