মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে একরত্তি
শনিবার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল বেহালার পর্ণশ্রী

চৈতালি বর্মন :সমস্ত বাবা- মা ই তাদের সন্তানয়ের ভালোর জন্য সমস্ত কিছু করতে এক পায়ে রাজি থাকেন। এমনকি মৃত্যু বোরন করতেও পিছপা হন না। এই জন্যই তাদের বলা হয় বাবা -মা। সেরকমই মেয়ের একঘেয়েমি কাটাতে ,মেয়েকে খুশি করতে মেয়ের সাথে খেলায় মেতে উঠতেই হটাৎই ঘটে গেল পর্ণশ্রীতে(parnasree) এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মজা করতে গিয়ে, সন্তানকে আনন্দ দিতে গিয়ে ঘনিয়ে আসলো বিপদ। একরত্তি মেয়েকে নিয়ে লোফালুফি খেলতে গিয়ে অসাবধানবশত হাত ফসকে ছাদ থেকে নীচে পড়ে যায় মেয়ে। তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেন বাবাও।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবার। শনিবার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল বেহালার পর্ণশ্রী। বাবা মারা গেলেও ছোট্ট মেয়ে প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু সোমবার জখম ওই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।হাসপাতাল সূত্রে খবর,এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই এক রত্তি।মাথা ও ঘাড়ে আঘাত গুরুতর ওই শিশুর। এসএসকেএম(eseskeem ) হাসপাতালে ট্রমা কেয়ারের রেডজোনে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে সে। চিকিত্সকদের একটি টিম নজরে রেখেছে তাকে। বর্তমানে ওই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ্য, পেশায় রেলকর্মী সুভাষ পান্ডা পরিবার নিয়ে থাকতেন পর্ণশ্রীর(parnasree ) ফ্ল্যাটে। তাঁর আসল বাড়ি উড়িষ্যায়(odisha )।
অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও ছাদে উঠে মেয়েকে নিয়ে খুনসুটি করছিলেন সুভাষ বাবু। হঠাত্ করেই ওইদিন পাঁচিলের কাছাকাছি মেয়েকে নিয়ে খেলতে গিয়ে হাত ফসকে নিচে পড়ে যায় শিশুটি। এরপরই তাকে বাঁচাতে ফ্ল্যাটের ছাদ থেকেই ঝাঁপ দেন বাবা। শিশুটি নিচে একটি গাছের তলায় মাটির উপর পড়ায় আঘাত প্রাপ্ত হলেও প্রাণে বেঁচে যায়।কিন্তু সুভাষ বাবু ছাদ থেকে সিমেন্টের রাস্তার উপরে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে বিদ্যাসাগর হাসপাতলে নিয়ে যায়। এখান থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে একরত্তি।