শিবসেনার কটাক্ষ ” ভুল শুধরান, ঠিক লোক বাছুন আমেরিকা যা করেছে”
অপেক্ষার এক রাত, ফলাফলের দিকে তাকিয়ে বিহার তথা রাজ্যবাসী ইতিমধ্যে ভুল শুধরানোর মন্তব্য শিবসেনার

পৃথা কাঞ্জিলাল : এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা রয়েছে বিহারে (Bihar), ফলাফল আসতে ২৪ ঘন্টারও কম সময় বাকি। ই ভি এম বন্দি বহু স্বপ্ন কালকে উদ্ঘাটিত হবে। নির্বাচন শেষে রাজনৈতিক দলগুলি এখনো সরগরম একে অপরের ওপর এবং রয়েছে আক্রমণাত্মক প্রবণতা। সর্বশেষ আক্রমণটি মহারাষ্ট্রের শিবসেনার (Sivsena) তরফে জেডিউ এবং বিজেপি-র ওপর করা হয়েছে।
শিবসেনার মন্তব্য “আমেরিকার মানুষ ভুল শুধরে নিয়েছেন। ভারত তা থেকে শিক্ষা নিলে ভাল হয়।” বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের(Bihar Assembly Election) ফলের দিকে যেখানে গোটা দেশ তাকিয়ে সেই পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি (Bjp) এবং নীতীশ কুমারের(Nitish Kumar) জোটকে নিশানা করেই তাদের এমন মন্তব্য বলে জল্পনার সৃষ্টি হয়ে রাজনৈতিক শিবিরে।
আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের(Donald Trump) হারের পর ভারতে বিরোধীদের মনোবল খানিকটা ওপরে বিরাজমান। তাঁদের মতে আমেরিকা তে “কমলা” এসেছেন, ভারত থেকে “কমলা” বিদায়ে করা টা অসম্ভব না। শিবসেনার দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-য় সেই একই সুর। তাদের দাবি, ‘রাষ্ট্রের মাথায় আসার যোগ্যতা ছিলেন না ট্রাম্পের। আমেরিকার মানুষ ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। তাই চার বছরেই তা শুধরে নিয়েছেন। একটা প্রতিশ্রুতিও পূরণ করতে পারেননি উনি। ট্রাম্পের পরাজয় থেকে আমরা ভারতবাসী যদি কিছু শিখতে পারলে ভাল।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘আমেরিকায় ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটেছে ইতিমধ্যেই। বিহারেও ক্ষমতার দাপট তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) স্পষ্টতই হারছে। তাই এই মুহূর্তে দেশ এবং রাজ্যগুলিতে তাদের ছাড়া কোনও বিকল্প নেই, সাধারণ মানুষই রাজনীতিকদের এই ভুল ধারণা ভেঙে দিতে পারেন’।
বছরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর গোটা পরিবারকে আপ্যায়ন করা নিয়েও মোদী সরকারকে কথা শোনান শিবসেনা। মন্তব্য করা হয়, ‘ভুললে চলবে না, উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে এ দেশে ওঁকে স্বাগত জানিয়েছিলাম আমরা। আমাদের সংস্কৃতিতে ভুল লোককে স্বাগত জানানোর প্রথা নেই। বাইডেন আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন। ভারত যতই ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের হোক না কেন, আমেরিকার শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ভুল শুধরে নিয়ে ট্রাম্পকে দেখিয়েছেন ঘরে ফেরার রাস্তা। একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নীতীশ কুমাররাও তেজস্বীর সামনে টিকতে পারবেন না’। অপেক্ষার র এক রাত, জল্পনার অবসান আগামীকাল ই, তাকিয়ে বিহার, সাথে আপামোর রাজ্যবাসী।