দ্রুত লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেলমন্ত্রককে চিঠি বিজেপির স্বপন দাশগুপ্তের
স্টেশন গুলিতে সাধারণমানুষ দেখছেন অবরোধ, লোকাল ট্রেন চালাতে হবে অবিলম্বে

দেবশ্রী কয়াল : আনলক পর্যায়ে ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে সব কিছু। কিন্তু এখনও রাজ্যে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। যার জেরে একের পর এক স্টেশনে চলছে যাত্রীদের বিক্ষোভ-অবরোধ। তাই এমন পরিস্থিতিতে বাংলার লোকাল ট্রেন চালু করতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত। তিনি এদিন চিঠিতে লিখেছেন, বাংলায় যাতে দ্রুত সম্ভব যেন লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিকভাবে চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
গত ২২শে মার্চ থেকে লকডউনের জেরে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। যদিও শ্রমিক স্পেশ্যাল ও আনলক পর্বে দূরপাল্লার বিশেষ ট্রেন চালু হয়েছে। কিন্তু চলেনি লোকাল ট্রেনের চাকা। এখন শুধুমাত্র কয়েকটি স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে যেগুলিতে সাধারণ যাত্রীদের সফর নিষিদ্ধ। ফলে প্রতিদিন অফিস পৌঁছতে নাজেহাল পরিস্থিতি হচ্ছে আমজনতার। ফলে কেউ কেউ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই উঠে পড়ছেন স্পেশ্যাল ট্রেনে।
আর এই নিয়ে গত রবিবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হুগলির একাধিক স্টেশন। এরপর আজ সোমবার সকালে লিলুয়া স্টেশনে হাওড়াগামী একটি ট্রেনে চেকিং চালানো হয় আর তখন বহু যাত্রী ধরা পড়ে যান, যাঁরা রেলের কর্মী নন। তখন ট্রেন থেকে তাঁদের নামিয়ে ফাইন করা হয়। আর তাতেই রণক্ষেত্রের চেহারা ধর্ণা করে লিলুয়া স্টেশন।
এ প্রসঙ্গে হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, ‘রাজ্যের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে না। এমনকি অ-রেলকর্মীদেরকেও ট্রেনে চড়তে দেওয়া হবে না।’ এর আগে বিভিন্ন সময় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য অনুমতি দিলেই গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদের চিঠি বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এছাড়া লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ার কারনে বহু মানুষকেই সমস্যাতে ভুগতে হচ্ছে। অনেকেই নিজের কাজে পৌঁছাতে পারছেন না। লোকাল ট্রেন ছাড়া বহু মানুষই অচল।