সকল বিক্ষোভকে উপেক্ষা করে ডায়মন্ড হারবারের সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা
ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারকে বাক্যবানে বিঁধলেন নাড্ডা

পল্লবী কুন্ডু : একের পর এক বাঁধা, বিক্ষোভকে পেছনে ফেলে গন্তব্যে পৌঁছলেন জে পি নাড্ডা(J. P. Nadda) এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Vijayvargiya), দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh), মুকুল রায়(Mukul Roy)-সহ বিজেপি নেতারা। এবার ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারকে বাক্যবানে বিঁধলেন জে পি নাড্ডা। মমতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কাটমানি থেকে আমপানে কেন্দ্রের টাকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন নড্ডা। সভায় নড্ডা বলেন, ”তৃণমূলের গুন্ডারা আমাকে আটকানোর কোনও ত্রুটি রাখেনি। কিন্তু এই গুন্ডারাজ আমরা মানব না। বিরোধীদের এই দমন-পীড়নের নীতি এ রাজ্য় থেকে দূর করতে চাই।”
ডায়মন্ড হারবারের সভায় নাড্ডার বক্তব্যে এদিন মূলত যে বিষয় গুলি উঠে আসে তা হলো, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। ‘গরিব মানুষের ঘর পাওয়া উচিত কি না, আপনারা বলুন’,বলেন নাড্ডা। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এই তৃণমূলকেও এখানে আটকে দিন, আমরা ক্ষমতায় আসব, আয়ূষ্মান ভারত ফেরাব’। ‘প্রধানমন্ত্রী আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্পে ভারতবাসীর সুবিধা দিয়েছিলেন, সেটা মমতা আটকে দিয়েছেন’। ‘সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, ওই টাকার দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করতে হবে সিএজি-কে দিয়ে’। আম্ফান দুর্নীতি কান্ডকে সামনে রেখে নড্ডা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তরা পাননি। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বলে দিয়েছে, সিএজি-কে দিয়ে তদন্তত করানোর জন্য।”
তিনি একুশে নির্বাচন নিয়ে সরাসরি জনগণকে বলে,’এই তৃণমূলকে আগামী নির্বাচনে ছুড়ে ফেলতে হবে, পদ্ম ফোটাতে হবে।’ এদিন বক্তব্যে তিনি রাজ্যের সংস্কৃতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন,’এটাই কি এই রাজ্যের সংস্কৃতি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে।”বিরোধীদের দমন, পীড়নের এই নীতি এই রাজ্য থেকে দূর করতে চাই,এই গুন্ডারাজ আমরা মেনে নেব না।”তৃণমূলের লোকজন আমাকে আটকানোর সব রকম চেষ্টা করেছে,একটা গাড়িও ছাড়েনি, সব গাড়িতেই আক্রমণ হয়েছে। আমাদের নেতাদের গাড়িগুলি দেখুন। তবু আমি ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছেছি।’
ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার পথে একাধিক জায়গায় হামলা, ইটবৃষ্টির মুখে পড়ে নাড্ডার কনভয়। রাস্তার দু’পাশ থেকে উড়ে আসে ইট-পাথর। তবে সে সব এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছন নড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়-সহ বিজেপি নেতারা।