ফের বিষাক্ত গ্যাস লিক, শ্রমিক পক্ষ থেকে জানানো হলেও নীরব কর্তৃপক্ষ
বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ১৫ জন, ৯ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক

পল্লবী কুন্ডু : দীপাবলির আগে ফের বিষাক্ত গ্যাস(Toxic Gas) লিক করে অসুস্থ ১৫ জন। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই ওই হিমঘরে গ্যাস লিক করার বিষয়টি সেখানে কাজ করতে আসা শ্রমিকেরা বুঝতে পারে। মালিক পক্ষকে জানালেও তারা এই বিষয় নিয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ নেননি। এরপরেই বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি বিস্ফোরণ ঘটে ও তারপরই হু হু করে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। অসুস্থদের মধ্যে ৯জনের অবস্থা রীতিমত আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(Burdwan Medical College Hospital)। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন দমকলের আধিকারিকেরা।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে হিমঘরের বাতানুকূল যন্ত্রার ভালব ফেটে গ্যাস পেড়িয়ে পড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। অসুস্থদের এদিন প্রথমে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৯জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠায় তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাকি ৬ জনের মধ্যে ৫জন গুসকরার হাসপাতালেই রয়েছেন চিকিত্সার জন্য। ১জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।ঐমুহুর্তে ঘটনাস্থলে বহু শ্রমিক যেমন ছিলেন তেমনি অনেক আলুচাষী এসেছিলেন আলু কেনাবেচার জন্য। যারা অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা প্রায় সকলেই শ্রমিক নয় আলুচাষী বা ব্যবসায়ী। ঘটনার জেরে পুলিশ ওই হিমঘরের পাশ দিয়ে যাওয়া ২বি জাতীয় সড়কে আপাতত যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। আশেপাশের গ্রামগুলিকেও সতর্ক করে দিয়েছে যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত যেন পুলিশকে জানানো হয় ও অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে হিমঘরের ম্যানেজার সজল মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘আমাদের কোনও গাফিলতি নেই। প্রতিবছর রুটিন মাফিক চেক করা হয়। এবছরও হয়েছে। কেন এটা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে। আপাতত আ্যামোনিয়া গ্যাসভরতি ওই টিউবের মুখে জল ঢেলে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তবে পুলিশ শ্রমিকদের তরফ থেকে যে বক্তব্য উঠে এসেছে তা খতিয়ে দেখছে। সকাল থেকেই গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটলেও মালিক কর্তৃপক্ষ কেন কোনও পদক্ষেপ করলো না সেটাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।