বাতিল করা হোক ২০২১ CBSE বোর্ড পরীক্ষা, পিটিশন দাখিল বহু পরীক্ষার্থীদের
অনলাইন ক্লাসের কারনে অনেকেই পাননি সুবিধা, পরীক্ষা হলে হতে হবে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন

দেবশ্রী কয়াল : করোনার কারনে পড়াশোনায় পড়েছে বেশ প্রভাব। বহু পড়ুয়ার হয়েছে অনেক ক্ষতি। আর এবারে সমস্যা দেখা দিয়েছে CBSE বোর্ড পরীক্ষাকে ঘিরে। কয়েক সপ্তাহ আগেই, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জানিয়েছিলেন চলতি বছরের আগামী মে মাসের ৪ তারিখ থেকে জুনের ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে CBSE বোর্ড পরীক্ষা। তবে এর পরেই পরীক্ষা না দেওয়ার পক্ষে বহু শিক্ষার্থী একটি পিটিশন দাখিল করেছেন change.org-এ। সেই পিটিশনে জানানো হয়েছে এই বছর যাতে সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পড়ুয়াদের দাবি যে, আর্থিক সমস্যার জন্য প্রচুর পরীক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে পারেননি। ফলে তারা ঠিক মত স্কুলের নির্দেশ জানেন না, পড়াশুনায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন। তাই তাদের পক্ষে আসন্ন পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই তাদের পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া বেশ মুশকিল।
গত বছরটি সব মানুষের জন্যেই বেশ কঠিন ছিল। অনেককেই নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেই সমস্যার শিকার হয়েছে পড়ুয়ারাও। শারীরিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উপায় ছিল না, তাই অনলাইন ক্লাসি ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু অনেককেই নানা বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। হয়ত কারোর বাড়িতে নেটওয়ার্কের সমস্যা কিংবা কারোর বাড়িতে মোবাইল বা ল্যাপটপ কিছুই ছিল না যে তারা ক্লাস করতে পারবে। তাই এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে বলা হলে অনেকেরই সমস্যা হবে। আর সেই কারণেই ২০২১-এর সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল করা হোক বলে পিটিশন দাখিল করেছেন বহু পরীক্ষার্থী।
এছাড়ার এই পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিকল্প উপায়ে এই শিক্ষাবর্ষে নম্বর দেওয়া হোক এবং বোর্ডও যাতে স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার মাধ্যেমে পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেয়, সেই আর্জিও রাখা হয়েছে। যাতে বছরও কারোর নষ্ট না হয় এবং হটাৎ করে পরীক্ষা দিতে বসে অনেক পড়ুয়া সমস্যার সম্মুখীন না হয়। তবে জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রহি দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ডেটাশিট আর কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ করতে চলেছে সিবিএসই বোর্ড। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জানান যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা পরীক্ষার দিন সামনে আনার ব্যবস্থা করছে। তবে এই পিটিশন নিয়ে কোনোরকম চিন্তাভাবনা বা পদক্ষেপ বোর্ড নেয় কী না তা এখন দেখার পালা।