নববর্ষের নিষেধাজ্ঞা, ছাদে করা যাবেনা উৎসব
ঢাকা বাংলাদেশে ছোট করেও উৎসব পালনেও বাধা, করোনা কালে কিছুটা এই রকম ই নির্দেশ

পৃথা কানজিলাল : নতুন বছরকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত সকলে, নাচে গানে মাতবেন সকলেই তবে করোনা বিধি মেনেই অবশ্যই। উত্সবে থাকছে নানা সীমাবদ্ধতা। ঢাকা বাংলাদেশে এর মধ্যে মেট্রোপলিটন (Metropoliton) পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, বাড়ির ছাদেও থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের জন্য একত্রিত হওয়া যাবে না। নিজ ঘরের মধ্যে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদায় দিতে হবে এ বছরকে। তারপরও ছোট পরিসরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, ধানমণ্ডি, শ্যামলী এলাকাসহ আবাসিক এলাকার কিছু বাসার ভাড়াটিয়ারা। বাড়িতে ছাদকেদ্রিক উত্সবের আয়োজন রেখেছেন তারা।
মোহাম্মাদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের ৫ নাম্বার রোডের ৮ তলা বাড়ির মালিক সোহেল রানা বলেন, ‘আমাদের ৮ তলা ফ্লাটে মোট ১২টা পরিবার আছে। তারা থার্টি ফাস্ট নাইটে একত্রিত হয়ে ছাদে পিকনিকের মতো আয়োজনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়েছে। ছোট সাউন্ড সিস্টেম, কিছু লাইটিং আর খাওয়া-দাওয়া হবে। যদিও পুলিশের থেকে নিষেধ আছে। সেটা মাথায় রেখে আমরা আতশবাজি পরিকল্পনা বাদ দিয়েছি। তবে নিজেদের মধ্যে একটু মজা করে পালন করার প্ল্যান করেছি আমরা।’
বাসা-বাড়ির ছাদে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের বিষয়ে মোহাম্মাদপুর ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতির জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সকল ফ্ল্যাট মালিকদের নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও করোনা মহামারির কারণে থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। নির্দেশনা অনুযায়ী উন্মুক্ত স্থানে, বাসার ছাদে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর ওপরও আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনও বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুড দোকান বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে বিধি মেনেও মজা করতে করছেন না আপামর জনতা সেটা ছোট আয়োজন ই হোক বা বড়ো করে।