কড়া হাতে ছট পুজো পালন, নিশ্ছিদ্র করা হলো পুলিশি ব্যবস্থা দুই সরোবরে
মুখ্যমন্ত্রী পুজোর শুভেচ্ছা জানালেও নিয়ম মেনে ছট পুজোর উপর দিলেন জোর, দুই সরোবরে কড়া নজর

পৃথা কাঞ্জিলাল : আজ ছট পুজো (Chat Puja) , আর পুজো রুখেতে করোনার আবহে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ২ সরোবরে যাতে ছট না হয়, তা নিশ্চিত করা। কারণ, আদালতের নির্দেশ থাকলে এতদিন কার্যত তাকে না মেনে এ চলতো পুজো করা। কিন্তু করোনা আবহে এবার কড়া হয়ে এই উত্সব পরিচালনা করছে কলকাতা পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পুজোর শুভেচ্ছা সকলকে জানিয়েছেন এমনকি নিয়ম মেনে ছট পুজোর উপর জোর দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের দুই সরোবরের উপর কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। একাধিক জায়গায় জলধার তৈরি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই কৃত্রিম জলাধারেই আপাতত সূর্যদেবের পুজো করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সুভাষ সরোবর-(Subhas Sarobar) এর সবকটি গেটে পুলিশি ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে সুভাষ সরোবর এবং রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar) শহরের এই ২ লেকেই ছট পুজো কোনওভাবেই করা যাবে না। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ পুলিশের।
পুনিয়াপাড়ায় মোট ৬টি কৃত্রিম জলাশয় বানানো হবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে। সুভাষ সরোবরের ইএম বাইপাস, সিআইটি রোড-সহ বিভিন্ন দিক থেকে সরোবরে প্রবেশের পাঁচটি গেট আছে। এর মধ্যে চারটিতে পুলিশ গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই ব্যারিকেড করে দিয়েছে। একটিতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি, একাধিক থানার পুলিশ প্রত্যেক গেটেই পাহারা দিচ্ছে। অন্যদিকে, রবীন্দ্র সরোবরের ক্ষেত্রেও সার্দান অ্যাভিনিউ, লেক গার্ডেন স্টেশন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড সব দিকের গেটই আটকে পুলিশি ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। এই দুই সরোবরে এবার যে পরিমাণ পুলিশি প্রহরা রয়েছে, তা এড়িয়ে ভেতরে ঢোকা অসম্ভব। তাই বলাই যায়, এইপ্যান্ডেমিক আবহে প্রশাসন যেভাবে পরিবেশ বাঁচাতে নিজেদের ভূমিকা পালন করেছে, তা প্রশংসনীয়। সকলেই মনে করছেন, পরিবেশ বাঁচাতে প্রতিবছর এটাই নিয়ম হওয়া উচিত।