ছটপুজো নিয়ে কি পরিকল্পনা, জবাব চেয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের
ছটপুজোতে ভিড় সামাল দিতে এবং সুরক্ষাবিধি রক্ষা করতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে

পল্লবী কুন্ডু : প্রথমে দুর্গাপূজা, তারপর কালীপূজা আর এবার ছটপুজো (Chhath Puja) নিয়েও রাজ্যকে এক হাত নিলো হাইকোর্ট (High Court)।ছটপুজো নিয়ে এদিন রীতিমতো তুলোধনা করা হয় রাজ্যকে। ছটপুজোতে ভিড় সামাল দিতে এবং সুরক্ষাবিধি রক্ষা করতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, ‘কলকাতায় ৩৮০টি ঘাট আছে সেখানেই ছট পুজোয় মানুষ আসেন, এ ছাড়া শিলিগুড়ি, দুর্গাপুরেও ছটপুজো হয়। কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যে প্রসেশন বের হয় সেখানে ভয়ংকর ডিজে বাজে, বাজি ফাটে। এগুলোর ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে?’
রাজ্য সরকারের আইনজীবী এর জবাবে জানান, সকলে মাস্ক পরেন যাতে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরেই পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি, ‘এতেই কি হয়ে যাবে? কী ধরনের প্রচার চালিয়েছে রাজ্য?’ রাজ্যের তরফে জবাব আসে, ‘কেউ যদি বেরিয়ে যায়, কীভাবে আমরা সামলাব?’ এর পরেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে কিছুটা কড়া সুরেই বলেন, ‘তার মানে আপনাদের কোনও পরিকল্পনা নেই? জীবন যেখানে স্বাভাবিক নয়, সেখানে রাজ্য কী প্ল্যান করছে? শহরে অনেক পকেট আছে। যেমন জুট বেল্ট। যেটা নদীর পাশেই। আপনাকে সেগুলো দেখে কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে হবে। প্রচার চালাতে হবে। বলতে হবে যে অতিমারীতে এটা চালানো যাবে না। নির্দিষ্ট সংখ্যা না বললে ম্যানেজ করতে পারবেন না।’
ইতিমধ্যে কালীপুজো নিয়ে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ রয়েছে না বাজি বিক্রি না বাজি ফাটানো। কিন্তু এই নির্দেশের পরেই একাধিক জায়গায় নজরে এসেছে বাজি বিক্রি হতে। আর সেই বিষয়কে তুলে ধরেই এদিন বিচারপতি বলেন,’সংবাদপত্রের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে নানা জায়গায় বাজি পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষত নুঙ্গি, চাম্পাহাটি, বড়বাজারে। কীভাবে এটা সম্ভব? আমরা বড়জোর বলতে পারি বাজি ব্যবহার করা যাবে না। সেটা পালন করা তো রাজ্যের দায়িত্ব। কলকাতা পুলিশ বা জেলার বিশেষ টিম দিয়ে নজরদারি চালানো উচিত।’ এরপরেই দুপুর পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। ঠিক হয়, সাড়ে তিনটের পরে ফের শুনানি শুনবেন বিচারপতি।
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে সুরক্ষা এনে দিতে কড়া ভূমিকা পালন হাইকোর্টের।