স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছে দিল্লি, প্রধান মন্ত্রীকে প্রস্তাব কেজরিওয়াল সরকারের
১৭ তারিখের পর কীভাবে রাজ্যে কতটা লকডাউন শিথিল করা যায় সে বিষয়েই প্রস্তাবিত হয়
পল্লবী : এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিল্লি নিয়ে নয়া প্রস্তাব কেজরিওয়াল সরকারের। তাতেই উল্লেখ করা হয়েছে যে সর্ত সাপেক্ষে মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, বাস বা মেট্রো পরিষেবা চালু করা যেতে পারে। তবে কড়া ভাবে মানতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং নিয়ম মানতে হবে, এটাও জানানো হয়েছে। ১৭ তারিখের পর কীভাবে রাজ্যে কতটা লকডাউন শিথিল করা যায় সে বিষয়েই প্রস্তাবিত হয়। এছাড়াও রাজধানী দিল্লিতে নির্মাণ কাজ শুরুর এবং তারই সঙ্গে অল্প সংখ্যক নির্মাণকর্মীকে কাজে যুক্ত হওয়ার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। এমনই সূত্র মারফত খবর। এছাড়া ২জন যাত্রী নিয়ে ট্যাক্সি বা ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অনুমতিও দেওয়া হতে পারে।
দিল্লিতে মল বা শপিং কমপ্লেক্স খোলা হলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রীর দোকান খোলা হতে পারে অড-ইভেনের হিসেবে। এই একইভাবে দূষণ রুখতে অড-ইভেনের হিসেবে গাড়ি চালিয়ে স্বস্তি এসেছে দিল্লিতে। এবার সেই পথে দোকান খোলার ক্ষেত্রে হাঁটতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ১৭ মে পর থেকে অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করতে একাবিধ পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। লকডাউনের নিয়ম বজায় রেখেই এই ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে খবর। এই বিষয়ে রাজ্যবাসীর কাছে মতামত জানতে চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এই সময় দাঁড়িয়ে স্কুল, কলেজ, স্পা, সেলুন, সিনেমা হল, সুইমিং পুল না খোলার পক্ষেই দিল্লির জনতা। সকলেই চাইছেন মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে পরা হোক, সঙ্গে মানা হোক সামাদিক দূরত্ব। অনেকে হোটেল বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিলেও, অনেকে চাইছেন রেস্তোরাঁ খোলা হোক শুধুমাত্র খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য, বসে খাওয়ার জন্য নয়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী চান ১৮ মে থেকে ধীরে ধীরে নন কন্টেইনমেন্ট জোনে কারখানা খোলার অনুমতি মিলুন। আপাতত কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রাজধানী দিল্লি তথা গোটা দেশ। তবে এই মুহূর্তে ১৭ তারিখের পর লকডাউনে শিথিলতা আনা আদৌ কার্যকরী হবে নাকি চরম ভোগন্তির কারণ হবে তা পরবর্তী পরিস্থিতিই বলতে পারবে।