“চোর তারাও বেহালা বাঁচাও ” MLA পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে আসরে কলকাতা সিপিএম
প্রাত্তন মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিবের পদ গেছে আগেই এবার বিধায়ক থেকে অপসারণ চেয়ে সরব কলকাতা জেলা CPIM

নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার কলকাতা CPIM দাবি করলেন যে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক প্রাত্তন মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব কে বিধায়ক পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, শিল্প পুনর্গঠন ও পরিষদীয় বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি বিধানসভার শাসক তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের উপনেতা নির্বাচিত হন। দীর্ঘ্যসময় বামেদের হাতে থাকা বিধান সভা পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাত ধরে পরিবর্তন হয়েছিল। সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে তিনি অ্যান্ড্রু ইউল সংস্থার এক প্রাক্তন এইচআর প্রফেশনাল ছিলেন । পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মানুষ ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০০১ সালে তিনি বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে পুনরায় ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে তিনি বেহালা পশ্চিম থেকেই ৫৯,০২১ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে একটানা তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন।
CPIM কলকাতা জেলা সম্পাদক ও রাজ্য সম্পাদক কমিটির সদস্য কল্লোল মজুমদার কর্তৃক প্রকাশিত। এই পোস্টারে আরো বলা হয় যে ৭০ উর্ধ এই নেতা শিক্ষা দুর্নীতির তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বান্ধবীর ফ্লাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার ও বিপুল পরিমান গয়না ছাড়া অনেক গুরুত্ব পূর্ণ নথি পাওয়া যায়। এই পোস্টারে আরো বলা হয় যে , বেহালা পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জন্য বিধায়ক হিসেবে যে পরিষেবা দেবার কথা ছিল তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই বেহালা পশ্চিম থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে বিধায়ক পদ থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে।
কোনো কাজ-ই হচ্ছে না , কারণ MLA আছেন জেলে। তাই পরিষেবা নেই বিধানসভায় , বার্ধক্য ভাতা, স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী, বিধবাভাতা, দুয়ারে সরকার, বিভিন্ন কাজে বিধায়কের সহায়তা প্রয়োজন হয়। সেই সব কাজ থমকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বাম সমর্থকদের।