ফের ধর্ষণ স্কুল পড়ুয়া, ধৃতের নাম বাপি মির্ধা
পাড়ার নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পল্লবী কুন্ডু : পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ঘটনা। পাড়ার নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম বাপি মির্ধা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা ১৩ বছরের ওই কিশোরী ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তারা তিন বোন এক ভাই।হতদরিদ্র পরিবারের ঐ কিশোরীর বাবা মা দুজনেই জনমজুরি করেন। কিশোরীর দাদা স্থানীয় এক ধান ব্যবসায়ীর কাছে মুটের কাজ করেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত বাপি মির্ধা এলাকায় মৃত্শিল্পী হিসাবে পরিচিত। বাপি বিবাহিত,তাঁর এক সন্তানও রয়েছে।
এই গোটা ঘটনার পর কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মেয়ে দাদাকে ডাকতে বটগ্রাম ক্যানেলপুলের পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছিল তখন বাপি মির্ধা তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে রাস্তার ধারের একটি দরজা খোলা কামারশালায় নিয়ে যায়। সেখানেই ওই স্কুলপড়ুয়া মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কিশোরীর চিত্কার শুনে ওই এলাকার এক প্রতিবেশী ছুটে যান কামারশালায়।
তারপর যথারীতি আর সময় নষ্ট না করে তারা বাড়ির লোকে ডেকে পাঠান। কিশোরীর মা জানান তাকে দেখেই বাপি ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর ওই রাতেই স্থানীয় গুসকরা থানায় বাপি মির্ধার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান ওই স্কুলপড়ুয়া কিশোরীর মা। অভিযোগ পেয়ে সময় নষ্ট না করে তদন্তে নামে গুসকরা থানার ডিউটিরত পুলিশ অফিসারের। শুক্রবার ১১ই সেপ্টেম্বর রাতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে গুসকরা থানার পুলিশ। ১২ তারিখ শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। পাশাপাশি নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই স্কুলপড়ুয়াকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।