এই বছর অনলাইন-ই ভরসা পড়ুয়াদের, ডিসেম্বরেও খুলছে না কলেজ
উপাচার্য এবং শিক্ষামন্ত্রীর এদিনের বৈঠকে আগামী মাসে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা : অতিমারী করোনার (Corona vairus) জেরে বিগত সাত মাসের ওপর বন্ধ রয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গুলি। তবে উপাচার্য এবং শিক্ষামন্ত্রীর শেষ বারের বৈঠকে এ কথা জানা যাচ্ছিলো যে ডিসেম্বরেই নাকি খুলবে।অবশ্য তা নিয়ে একটা জল্পনা ছিলই। কিন্তু আজকের বৈঠকেই কাটলো সেই ধোঁয়াশা। ডিসেম্বরেও রাজ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় (College-University) খুলছে না। পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত।
এদিন রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য়দের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেও আগামী মাসে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, যেসব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও আসন খালি রয়েছে সেখানে পুনরায় ভর্তির জন্য পোর্টাল চালু করা হতে পারে। সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরীক্ষা আপাতত অনলাইনেই হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সাথে এও জানা যায়, আপাতত অনলাইনেই পঠন-পাঠন চলবে। স্নাতক ও স্নাতোকত্তোরে পরীক্ষাও হয়েছে অনলাইনে। তবে, রাজ্য ট্রেন চলাচল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। তাই মনে করা হয়েছিল নিয়ন্ত্রিত উপায়ে খুলবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, এদিনের বৈঠকে সেই জল্পনার সমাপ্তি। তাহলে কবে খুলতে পারে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো? জানা গিয়েছে, পরের বছর জানুয়ারিতে ফের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠক হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আলোচনার ভিত্তিতে তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
তবে অন্যদিকে, গোটা শিক্ষা পদ্ধতি অনলাইন নির্ভরতা যেমন একদিকে সুবিধা এনে দিয়েছে, ঠিক তার বিপরীতে এই অনলাইন মাধ্যমকে কেন্দ্র করেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।বিবেকানন্দ কলেজে আজ চতুর্থদিনের পরীক্ষা। প্রথম দিন থেকেই কিছু না কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। সার্ভারে গন্ডগোলের জেরে বিএ, বিএসসি ও বিকম দ্বিতীয় সেমিস্টারের প্রথম দিনের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিন স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষা মিটলেও তৃতীয় দিনে সেই সমস্যা আরো উচ্চসীমায় পৌঁছয়। এদিন দুপুরে ২.৩০ থেকে পরীক্ষা শুরু হলে শেষ হয় ৪ টের সময় এবং তারপরে ৩০ মিনিট বরাদ্দ থাকে উত্তর পত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু ৪ টে বেজে ১ মিনিট থেকেই ফের গন্ডগোল শুরু হয় কলেজের অফিসিয়াল সাইটে। ৪ টে থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বারংবার চেষ্টার পর হাতে গোনা কিছু পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র জমা করতে পারলেও বাকিরা কেউই আর জমা করতে পারেনি। তবে পরদিন সকালে সেই সমস্যা মিটে যায় এবং পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্র জমা দিতে সক্ষম হয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়য়ের পরেই পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের ঝড় ওঠে তাদের সামাজিক মাধ্যম জুড়ে। তবে এ কথাও তারা শিকার করেছে যে সমস্যা চলাকালীন কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকেও তারা সাহায্য পেয়েছে।