
তিয়াসা মিত্র : আবারো সেই পুরোনো ক্ষততে চুরির প্রচার। দিল্লির নির্ভয়ার সেই নির্মমতার প্রতিবিন্ব এবার রাজস্থানে। ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়ে এবং তারপর তার যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দেওয়া হয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের অলওয়ার জেলায়। তবে আশ্চর্যের বিষয়ে এই যে, এই ঘটনা ঘটেছে এক সপ্তাহ আগে, এবং তাই নিয়ে কোনো রকম আলোড়ন কিন্তু আমরা লক্ষ্য করিনি কোথাও। কেন করিনি ? সাধারণ একটি মেয়ে বলে ? তবে এই বিষয়ে উঠে আসতেই পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকাকে তিলজারা উড়ালপুলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ, গণধর্ষণের পর নাবালিকার গোপনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তরা। তার পর তাকে উড়ালপুল থেকে নীচে ফেলে দেওয়াও হয়েছিল।
মঙ্গলবার তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং অলওয়ারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারেনি , সেখান থেকে জয়পুরের জেএন লোক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুধবার আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে এখনো তার অবস্থা সংকট জনক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাবালিকার শরীরে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। গোপনাঙ্গ থেকে ধারাল অস্ত্রও উদ্ধার করেছেন চিকিৎসকেরা। নাবালিকার স্বাস্থ্যের প্রতি নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অরবিন্দ শুক্ল।
এই অভিযোগে এখনো পুলিশ কোনো অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অর্থাৎ এখনো সেই মানুষ রুপি জল্লাদ গুলো মাথা উঁচু করে এই সমাজে বিচরণ করে চলেছে ! পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা ৩০০-র বেশি সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজস্থানের শিশু এবং নারী বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী মমতা ভূপেশ আশ্বাস দিয়েছেন- অভিযুক্তদের খুব তাড়াতাড়ি ধরা হবে হবে নাবালিকার মা বাবা দুজনেই দিন মজুরের কাজ করেন তাদেরকে ৬ লক্ষ্য টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে মমতা ভূপেন।
⧭সত্যি বলতে কি এই বিষয়ে আমাদের মতন সাংবাদিকের বোধগম্য হয় না যেখানে মেয়েটি সেই যন্ত্রনা ভোগ করছে যেখানে মোর যাওয়া হয়তো ভালো, সেইখানে দাঁড়িয়ে টাকা দিয়ে কি প্রমান করার চেষ্টা চলে ?? এই রীতি আমাদের দেশেই আছে যেখানে টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ করা হয়ে, আবার সেই কাজ যেখানে একটি মেয়ের আত্ম সম্মান,জীবন সব বিপন্ন হয়ে যায়। “ধর্ষণ” এই ক্ষতি পূরণ দেওয়ার মতো কারোর ক্ষমতা নেই আর হবেও না। সেখানে এই ৬ লক্ষ্য টাকার যে “ক্ষতিপূরণ” দেওয়ার কথা বলেছেন সেটি কোনো ভাবেই আমার নিজস্ব বোধগম্য হচ্ছে না।
আমরা কেন সেরকম একটা আইন পাস করতে পারিনা যেখানে এই রকম কাজ করার কথা কেউ ভাবলেও শিউরে উঠবে ? কেন আরব দেশের মতন সেরকম কড়া কোনো নিয়ম আমাদের দেশে এই বিষয়ের ওপর নেই ? ভারতবর্ষ শান্তিপ্রিয় দেশ বলে ? ভুলে গেলে চলবে না আজ থেকে ৭৬ বছর আগে সেই স্বাধীনতা হাতে পায়ে পরে নয় বরং রক্ত ঝরিয়ে কড়া হাতে অর্জন করতে হয়েছিল। তাই এই “ধর্ষণ” বিষয়ে তার প্রতিচ্ছবি দেখতে চায় এই ভারত এই আমার মতন সাধারণ মানুষেরা।