প্রথমে হাসপাতাল থেকে পলাতক, তারপর দেহ উদ্ধার পাশের ঝোপ থেকে
৫৭ বছরের এক কোভিড রোগী শনিবার পালিয়ে যান প্রয়াগরাজের স্বরূপ রানি নেহরু হাসপাতাল থেকে।
পল্লবী কুন্ডু : ফের হাসপাতাল থেকে পলাতক রোগী। হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ হানলো রোগীর পরিবার। শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ৫৭ বছরের ওই প্রৌঢ়কে ভর্তি করা হয়। এবং তারপর রিপোর্ট পসিটিভ আসে ওই ব্যক্তির। কিন্তু যে প্রশ্ন উঠছে তা হলো, হাসপাতাল থেকে কেন পালিয়ে গেলো ওই প্রৌঢ় ? শনিবার সকালে তিনি ফোন করে পরিবারের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে হাসপাতালের কর্মী, চিকিত্সকরা। বারবার নিজের অসুবিধার কথা বললেও তাতে কর্ণপাত করেননি কেউ। টাকা ছাড়া খাবারও দেওয়া হয়নি। প্রৌঢ়ের ফোনের ওই অডিও ক্লিপও প্রকাশ করে প্রৌঢ়ের পরিবার অভিযোগ করেছে, হাসপাতাল কর্মীদের গাফিলতি এবং দুর্ব্যবহারের কারণেই বাধ্য হয়ে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন।
৫৭ বছরের এক কোভিড রোগী শনিবার পালিয়ে যান প্রয়াগরাজের স্বরূপ রানি নেহরু হাসপাতাল থেকে। এমনকি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজেও সেও ছবি ফুটে উঠেছিল।তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো ঠিক তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এক ঝোপের মধ্যে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় রোগীর পরিবারের মানুষ হাসপাতাল কতৃপক্ষের দিকেই আঙ্গুল তুলছে। এবং তারা এটাই জানাচ্ছে যে, হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এই ঘটনা।
হাসপাতালের অধ্যক্ষ তথা চিকিত্সক এসপি সিং বলেন, ওই প্রৌঢ়ের জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট ছিল। তিনি সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু আচমকা তিনি চলে যান। চিকিত্সকরা তাঁকে বাধা দিতে গেলেও ফল মেলেনি। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে শনিবার বিকেল ৪.৩০ মিনিট নাগাদ কোভিড ওয়ার্ডের গেট দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন এক রোগী। তার ৩০ সেকেন্ড পর ফুটেজে একদল ব্যক্তিকে ওই গেট দিয়েই বেরতে দেখা গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ওই ব্যক্তিরা রোগীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু আদৌ কি তাই, নাকি এই পুরো ঘটনার মধ্যে রয়েছে অন্য রহস্য। গোটা বিষয় নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা দানা বাঁধছে সকল মহলে।