Environment

কলকাতার হাওয়ায় দূষণ উধাও, একধাক্কায় কমল কলকাতার দূষণের মাত্রা

নতুন করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বকে ত্রাসের মুখে ফেললেও এই ভাইরাসের কারণেই অদ্ভুত এক ইতিবাচক পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছে গোটা পৃথিবী।

প্রেরনা দত্তঃ লকডাউনে জব্দ দূষণ-দানব! রাস্তায় লোক কম, নেই যানবাহন। সুযোগ পেয়ে নিজেকে শুদ্ধ করে নিয়েছে প্রকতি। ২২ মার্চ রবিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘জনতা কার্ফু’র ডাক দিয়েছিলেন। সোমবার বিকেল থেকে এ রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর মঙ্গলবার ফের প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন। লকডাউনের ফলে বন্ধ কলকারখানা।স্বাভাবিক ভাবেই চলছে না যানবাহন। ফলে আকাশ অনেক বেশি নীল। মানুষ যখন ঘরবন্দি, তখন মুক্তির স্বাদ নিতে বেরিয়ে পড়েছে পশুপাখিরা।

মঙ্গলবার সকালে যাদবপুর বায়ু নিরীক্ষণ স্টেশনের পরিমাপ অনুযায়ী লকডাউনের অষ্টম দিনে সেখানে একিউআই-এর পরিমাণ ছিল ৭৬। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একিউআই-এর পরিমাণ ছিল ৮৯। এদিকে রবীন্দ্র সরোবরে ৬৮। তবে ফোর্ট উইলিয়ামে এই মান সামান্য বেশি ছিল। সেখানে ছিল ১০০। কলকাতা এখন প্রাণ ভরে শ্বাস নিচ্ছে।

স্বাভাবিকের থেকেও নীচে নেমে এসেছে বায়ুতে দূষিত কার্বন কণার পরিমাণ। এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড যেখানে খুব খারাপ থাকত, সেখানে তা খারাপ, মোটামুটি ভাল পেরিয়ে খুব ভাল হয়ে উঠেছে, মাত্র চার দিনে! তবে বলা হচ্ছে, রেড রোড ও জওহরলাল নেহরু রোডে যেহেতু অত্যাবশ্যক পণ্য পরিবহণ চলছে তাই সেখানে দূষণের পরিমাণ একটু বেশি।

‘জনতা কার্ফু’র এক দিন আগে এই শহরগুলিতে দূষণ সূচক ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দিল্লিতে ছিল ‘বাতাসের গুণমানের সূচক’ ১৮৬, কলকাতা ১২৮, বেঙ্গালুরু ১০৫, নয়ডা ১৬১, গুরুগ্রাম ১২৬।সবকিছুর মধ্যেও আশঙ্কায় ভয়ে থমথমে হয়ে থাকা শহরবাসী অন্তত প্রশ্বাস নিতে পারছে প্রাণভরে! পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রনাথ ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘‘দূষণের মাত্রা কমলেই জমির স্তরে ওজোনের পরিমাণ গত কয়েক দিনে কমেছে। এর ফলেও স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার উদ্ভব ঘটতে পারে।’

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading