হাজার চেষ্টা করেও জোগাড় করতে পারেননি কাজ, একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিলেন আত্মহত্যাকেই
পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী ও সন্তান কিন্তু কি খাওয়াবেন তাদের, 'বেকারত্ব' মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা যুবকের।

পল্লবী কুন্ডু : করোনা পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে জীবনের মানে। কখনো আশ্রয়হীন, আবার কখনো অভুক্ত। এই অসহায় মানুষগুলো আজও নিদ্রাহীন। লকডাউনের পরে ক্রমশ বেড়েছে বেকারত্ব, পাশাপাশি কমেছে কর্মসংস্থান। এমতাবস্থায় ওই কর্মহীন মানুষগুলো হারিয়েছে মানসিক ক্ষেত্রেও ভেঙে পড়েছে, প্রতিদিন হারাচ্ছে বেঁচে থাকার রসদ। আর এর চাক্ষুস প্রমান মিললো বারুইপুরে। শনিবার বারুইপুরে (Baruipur) ট্রেনের কামরায় উদ্ধার হয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ।
জানা যায় মৃত বারুইপুরের বাসিন্দা, নাম চিরঞ্জিত তাঁতির। কলকাতার হোটেলে রাঁধুনির কাজ করতেন চিরঞ্জিত। লকডাউনে কাজ চলে যাওয়ার পর সাতমাস ধরে কাজ ছিল না। জমানো টাকাও প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় সংসারে অনটন দেখা যাচ্ছিল। পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী ও সন্তান। ভাড়াবাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়েই তার সংসার। ফলে ধীরে ধীরে প্রবল আর্থিক সঙ্কট-এ ভুগতে শুরু করেন। বাজারে দেনাও হয়ে যায় বলে দাবি করে পরিবার।
কিছুদিন আগেই দাদার কাছে আশ্রয় নেন বছর পঁয়ত্রিশের চিরঞ্জিত। দিনকয়েক আগে সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে যান স্ত্রী। জানা যায়, গতকাল রাতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর, স্ত্রীর সঙ্গে বচসা হয় ব্যক্তির। একদিকে পরিবারের এই অশান্তি অন্যদিকে বেকারত্ব। অবশেষে এই জীবনযুদ্ধে হার স্বীকার করেই নিলেন। শুক্রবার রাতে বারুইপুর লোকাল ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তবে আর্থিক সংকটের কারণে মানসিক অবসাদের কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ তা খুঁটিয়ে দেখছে পুলিশ।