করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বাসের কর্মীরা, আতঙ্কে ফিরে যাচ্ছেন বাড়ি

রাস্তায় সরকারি বাস কমে যাওয়ারও রয়েছে আশঙ্কা, জীবনকেই বেছে নিচ্ছেন কর্মীরা

দেবশ্রী কয়াল : প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই কিন্তু করোনা তার বিষ ছোবল দিচ্ছে। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন মানুষ। জীবন আর জীবিকার মধ্যে এখন প্রাণের দায়ে বাড়ি ফিরছে অনেকেই। করোনার প্রকোপ কমাতে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় কিন্তু জারি করা হয়েছে লকডাউন। আর তার জেরেই কিন্তু রাস্তায় অনেকটাই কমেছে বেসরকারি বাস। এছাড়া তো রয়েইছে করোনার দাপট। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের একাধিক চালক ও কন্ডাক্টর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার থেকে সরকারি বাসও কমে যাওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এর জেরেই কিন্তু যাত্রী দুর্ভোগের একটা বিষয় উঠে আসছে।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের ১৬ জন চালক ও কন্ডাক্টর-সহ মোট ২৫ জন কর্মী মারণ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধুই আক্রান্ত নন, মারাও গেছেন ১ জন। এছাড়া, এসবিএসটিসি ও এনবিএসটিসির কলকাতা ডিপোয় কর্মরত দুই কর্মীরও করোনায় মৃত্যু হয়েছে। ওই দুই সংস্থার আরও অন্তত ১৩ জন কর্মী করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন, বলে মিলছে খবর। এই তিনটি নিগমের চালক ও কন্ডাক্টরদের মধ্যে করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্রতিদিনই। আর তার জেরেই সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার রাস্তায় সরকারি বাস কী সংখ্যায় থাকবে, তা নিয়ে কিন্তু রয়েই যাচ্ছে বেশ একটা সংশয়।

এদিকে রাস্তায় বেসরকারি বাস কমার জন্য মালিকরা করোনা আতঙ্ককেই দায়ী করছেন। আর এখন সেই আতঙ্ক কেবল বেসরকারি বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, আতঙ্ক ছড়িয়েছে সরকারি বাসের কর্মীদের মধ্যেই। তার জেরে, বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাঁরা। কারন দিনের শেষে তাঁদেরকেও ফিরতে হয় বাড়িতে, রয়েছে তাঁদেরও পরিবার। সুতরাং আতঙ্ক ছড়িয়েছে অনেকটাই মালিকপক্ষ এবং কর্মীদের মধ্যে।

কিন্তু এখন যদি রাস্তায় গাড়ি কমতে থাকে, তাহলে নিত্যযাত্রীদের কি হবে ? রাস্তায় বের হয়ে যদি পর্যাপ্ত গাড়িই না পান তখন কী করবেন তাঁরা ? এখনও কিন্তু বাসে হয় যথেষ্ট ভিড়। আর তার উপরে যদি গাড়ি কমতে থাকে তাহলে যে যাত্রী দুর্ভোগ আরও বাড়বে তাতে সন্দেহের অবকাশ আর থাকে না। তাহলে এই পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার ? কীভাবে সামাল দেবে পরিস্থিতির ?

Exit mobile version