ভোটের মরশুমে ব্রিগেড সমাবেশের পরিকল্পনা এবার বাম-কংগ্রেসের
ময়দান ছাড়তে রাজি নয় কেউই, ব্রিগেডই প্রকৃত জায়গা

দেবশ্রী কয়াল : আবহাওয়া শীতল হলে কী হবে, এই নতুন বছরে বাংলার রাজনীতি কিন্তু চরম উত্তপ্ত। ২০২১ এর বিধানসভার ভোটকে ঘিরেই বাংলার রাজনীতি এখন চরম উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। একদিকে বর্তমান শাসকদল তৃণমূল আবারও বাংলায় ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্যে জোরকদমে প্রস্তুতি করে চলেছে। করছে একের পর এক বৈঠক। অপরদিকে বিরোধী দল বিজেপিও মরিয়া বাংলায় কমতে আসার জন্যে। ময়দান ছাড়তে কোনোভাবেই রাজি নয় তারা। তাদের দাবি বাংলায় এবার ক্ষমতায় তারা আসবেই কেউ রুখতে পারবে না তাদেরকে। তবে বসে নেই ৩৪ বছর বাংলায় রাজ করা বামেরাও (CPIM)। তারাও নেমেছে কোমর বেঁধে। আর এবারে একা নয়, জোট বেঁধে কংগ্রেসের (CONGGRESS) সাথে ভোটের লড়াইয়ে নামবে তারা। আর তাই এবার নতুন বছরে ব্রিগেড (Brigade)সমাবেশের পরিকল্পনা করছে দুই দল।
২০১৬ একরকম সিট সংখ্যার সাথে বামেরা ও কংগ্রেস আপোষ করে নিলেও এবারে কিন্তু তারা তা হতে দেবে না কিছুতেই। বাংলায় পুনরায় ক্ষমতায় আসার জন্যে দুই দল দফায় দফায় করে যাচ্ছে সমালোচনা। আলিমুদ্দিনে হচ্ছে বৈঠক। ব্রিগেডের জোট বৈঠকের সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক সম্মতিও দিয়ে দিয়েছে কংগ্রেসের হাই কম্যান্ডও। আগের বার সেইভাবে কোনো ব্রিগেড সমাবেশ ঘটেনি, তাই এবারে জোর কদমে রণকৌশল করলে। দুই দল মিলে আলোচনা করছে।
এই বছর করোনার জেরে, ভোটের মরশুম ও পিছিয়েছে। তাই ব্রিগেড সমাবেশ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বা মার্চের প্রথম দিকে করতে চায় এই দুই দল। যাতে সেই সময় করোনার সংক্রমণ একটু কমে এবং পরিস্থিতি স্থিত হয় এবং ব্রিগেডের সমাবেশে মানুষের ভিড় বাড়ে। তবে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে এই বছর ৩রা ও ৪ঠা জানুয়ারি। ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে দলের বক্তব্য যখন “মানুষের প্রকৃত বিকপ্লের কথা বলা হবে সেই ক্ষেত্রে ব্রিগেড সমাবেশের থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। আর এই বছর যেহেতু যৌথভাবে আমরা ভোটে নাম দিয়েছি তাহলে সেটা সবার সামনে ব্রিগেডেই হওয়া ভালো।”