লালের আঁচে তপ্ত দেশ, ২৬শের ধর্মঘটের প্রস্তুতি তুঙ্গে
২৬শের সাধারণ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে গতকাল জনসভা বেহালা ও হাজরা তে, ঘুরে দাঁড়ানোর সংকেত বামেদের

পৃথা কাঞ্জিলাল : একুশের আগে রাজ্য রাজনীতিতে বাড়ছে জল্পনা। দিন যত ই এগোচ্ছে ততই সরব হচ্ছেন নেতা মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যে ২৬শে নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে CPI(M) এবং তারই সমর্থনে গতকাল হাজরা (Hazra) মোড় ও বেহালা চৌরাস্তা (Behala Chowrasta) তে ছিল বিশাল জনসভা। গতকাল হাজরা তে বক্তব্য রেখেছেন কমঃ মোহাম্মদ সেলিম (Md. Selim)এবং বেহালা তে কমঃ সূর্যকান্ত মিশ্র (Surya Kanta Mishra)। নতুন শ্রম ও খামার আইন ও পাবলিক সেক্টর ইউনিটগুলির বেসরকারীকরণসহ কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১০ টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের একটি যৌথ কমিটি ২৬শে নভেম্বর দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।দশটি বড় ট্রেড ইউনিয়ন ছাড়াও, ব্যাংকিং, বীমা, রেলওয়ের পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সংগঠন এই ধর্মঘটে অংশ নেবে। অসংগঠিত খাত থেকে ট্যাক্সি ড্রাইভার এবং কর্মীরাও অংশ নেবেন। আনুমানিক ১.6 কোটি শ্রমিক ২৪ ঘন্টা ধর্মঘটে অংশ নেবে, যা ২৫ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে 26 নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।

কলকাতাতে (Kolkata) শীত এলেও গতকাল দু জায়গা তে হাওয়া ছিল বেশ গরম, প্রতিবাদের সুর স্পষ্ট তাদের কথা তে। সূর্যকান্ত মিশ্রের কথাতে ” এই বৃত্ত কে আরো বড় করতে হবে, এই ধর্মঘট আর পাঁচটা সাধারণ ধর্মঘটের মতন নয়, দেশ স্বাধীন হবার পরে হওয়া প্রত্যেক টি ধর্মঘটের থেকে আলাদা এটি।” বাকি বিরাজমান পার্টিদের কটাক্ষ করে ও কিছু বক্তব্য রাখা হয়ে। তাদের কথাতে সাধনতার পরে এই প্রথম এই মন্দার মুখে ভারতবাসী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের জনবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী, দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক নীতিমালার বিরুদ্ধে সাধারণ ধর্মঘটের প্রস্তুতিমূলক প্রচারণা সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহের সাথে চলছে।” সব মিলিয়ে তৈরী হয়ে মাঠে নামছেন CPI(M) ধর্মঘট সফল করতে এবং মিশ্র বাবু এ ও জানান “আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটের, এইবার সেইদিন যদি ঝামেলা হয়ে সেই দায়ে আপনি নেবেন।
এছাড়াও গাজিয়াবাদের অন্যতম একটি শিল্প অঞ্চলের একটি লেদ মেশিন অপারেটর একজন ক্ষুব্ধ সুখদেব প্রসাদ বলেছেন ” “আচ্ছা দিন? এই সরকার আমাদের নরকে ঠেলে দিয়েছে! ”