হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রমরমিয়ে হচ্ছে বাজি বিক্রি, গ্রেফতার ৩
বারবার সতর্ক করার পরেও হচ্ছে বাজি বিক্রি, পুলিশরাও বাড়াচ্ছেন কড়া নজরদারি

দেবশ্রী কয়াল : এই বছর কড়াকড়ি ভাবে নির্দেশ ছিল যে বাজি (Crackers) পোড়ানো বা বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু হাইকোর্টের (Kolkata High Court) নির্দেশকে, প্রশাসনের সতর্ক বার্তাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শহর জুড়ে হচ্ছে বাজি বিক্রি। তবে এবারে তা রুখতে শুরু হয়েছে ব্যাপক পরিমানে পুলিশি ধরপাকড়। কালীপুজো (Kali Puja)এবং দীপাবলির(Diwali) আগের রাতেই বাজি বিক্রির অভিযোগে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে কসবা, রিজেন্ট পার্ক এবং উল্টোডাঙা থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শব্দবাজি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সব ধরনের বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো নিষিদ্ধ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশকে অমান্য করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কেনাবেচা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। গত কালও তার হেরফের হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বাজি বিক্রি করার অভিযোগে গত কাল কসবার থানা এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রজেন মিস্ত্রি নামে ওই যুবক কসবার জি এস বোস রোডের বাসিন্দা। গত কাল রাত ৯টা নাগাদ নিজের বাড়ির কাছে ২টি নাইলনের ব্যাগে করে প্রায় ২৮ কিলোগ্রাম বাজি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এবং তাঁর কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।
এই বছর কালীপূজা-দিওয়ালিতে বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাজি পোড়ালে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে সর্বোচ্চ ২ বছরের সাজা হতে পারে বলেও চারিদিকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে একাংশের বিশেষ কোনো হেলদোল নেই। কসবার মতোই রিজেন্ট পার্কে থেকে বাজি বিক্রি চলেছে। এরপর তা খবর পেয়ে গত কাল রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শীতলা পার্ক এলাকায় বাজি বিক্রি করছিলেন এক যুবক। তাঁর দোকান থেকে তিনটি ব্যাগ ভর্তি প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। আশিস সাউ নামে ২৮ বছরের ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উল্টোডাঙা থানা এলাকা থেকেও বাজি বিক্রির জন্য এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। বছর বিয়াল্লিশের গোপাল দাস উল্টোডাঙার বাসন্তী কলোনিতে বাজি বিক্রি করছিলেন। এখনও পুলিশরা চালাচ্ছেন নজরদারি, বারবার মানুষকে করা হচ্ছে সতর্ক।