করোনা সংক্রমণ এড়াতে বড় সিদ্ধান্ত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের, এবারের পূজা ভার্চুয়ালি
বাইরের দর্শনার্থীদের নেই প্রবেশের কোনো অনুমতি, ছোট হল পূজায় দর্শনার্থীদের গন্ডি
দেবশ্রী কয়াল : বারবার একটাই আশঙ্কা সবার মনের মধ্যে ঘুরছে, দুর্গা পূজার পর মারণ করোনার সংক্রমণ আরও বিপুল হরে বেড়ে যাবে না তো। এই আশঙ্কা করে চিকিৎসকরাও চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বারবার বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে, কারন তা না হলেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাটা বেড়ে যাবে। তাই বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার(Santosh Mitra Square)। এই বৎসর কেবল নিজেদের পাড়ার মধ্যেই পূজার গন্ডিকে সীমাবদ্ধ রাখল তাঁরা। কোনো দর্শক ছাড়াই হবে এই বৎসরের পূজা। পূজা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পূজার মন্ডপে কেবলমাত্র প্রবেশ করতে পারবেন এলাকার বাসিন্দারা।
এই বৎসরের পূজা হবে অনেকটাই আলাদা। করোনা সঙ্কটের মাঝেই এবার রাজ্যে হচ্ছে দুর্গাপুজো(Durga Puja)। জমায়েত সৃষ্টি হওয়া মানেই করোনা সংক্রমণ বাড়ার থাকছে আশঙ্কা আর সেই আশঙ্কাতেই দর্শক শূন্য পূজার সিদ্ধান্ত নিল শহরের নামী পুজো উদ্যোক্তা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। এই বৎসর পুজোর সময় মণ্ডপে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজো কমিটি। এইবারে প্রতিমা দর্শন থেকে পুজো, আলোকসজ্জা; সবটাই দর্শনার্থীদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে ভার্চুয়ালি, অর্থ্যাৎ বাড়ি বসেই দর্শকরা এবার দেখতে পাবেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পূজা।
শহরের অন্যতম প্রাচীন এই দুর্গোত্সব কমিটির পুজো মণ্ডপ ইতিমধ্যেই একেবারে তৈরি। তৈরি আলোকসজ্জাও। যা দেখতে দেখার জন্য প্রত্যেক বৎসর কাতারে কাতারে ভিড় হয় দর্শনার্থীদের। আর এবারে সেই ভিড় এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। এবার মণ্ডপের দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ক্লাব। অর্থাত্ প্রতিমা দর্শন থেকে আলোকসজ্জা, পুজো দেখা- সবটাই ভার্চুয়ালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। লকডাউনের মধ্যে প্রতিমা শিল্পীকে অগ্রিম দিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।
এ প্রসঙ্গে পুজো কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন- ‘ দুর্গাপুজোকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়। তাই পুজো না হলে, বাজারটা পুরো ধ্বংস হয়ে যাবে, বহু মানুষ অথৈ জলে পরে যাবেন। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন হাজার হাজার গরিব মানুষ। আবার যদি অসুখটা বেড়ে যায় তাহলে পুজো দেখতে আসাটাই তার কারণ হয়ে থাকবে। তাই, এই বৎসরের পুজো শুধু পাড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, বাকিরা দেখবেন ভার্চুয়ালি’।