এবারের ছবি পুরোপুরি ভিন্ন, দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির
অতিমারীর জেরে মা ভবতারিণীর পুজো দেখার অনুমতি মিলছে না ভক্তদের

পল্লবী কুন্ডু : একের পর এক উৎসব আর এর সাথেই বাড়ছে প্রশাসনের চাপ। প্রথমে দুর্গাপুজো তারপর লক্ষীপুজো এবার কালীপুজো নিয়েও জারি একাধিক বিধি-নিয়ম। কালীপুজোর রাতেও বেশ কিছু নিয়মের কড়াকড়ি করা হয়েছে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরে(Dakshineswar Kali Temple)। এবার সারা রাত পুজো দেওয়া গেলেও মন্দির চত্বরের ভিতরে কোথাও বসে মা ভবতারিণীর পুজো দেখার অনুমতি মিলছে না ভক্তদের। পাশাপাশি থাকছেনা অধিক ঘটাপটা।
বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবার মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনা আবহের কালীপুজোয় সারা রাত পুজো দেওয়া যাবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। মন্দিরের চাতালে কোনও ভাবেই ভিড় করা যাবে না। মন্দিরের বাইরের খোলামেলা চত্বরে লাগানো হবে পর্দা। পুজো দেওয়া হয়ে গেলেই মন্দিরের চাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। নাটমন্দির-সহ কোথাও কেউ বসে থাকতে পারবেন না। বন্ধ থাকবে প্রসাদ বিতরণও। করোনা পরিস্থিতিতে দূরত্ব-বিধি লঙ্ঘিত হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, কালীপুজোর পরেই আগামী ২০ নভেম্বর, শুক্রবার ছটপুজোর দিনে যাতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়, তার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, ছটপুজোর দিন বেলা সাড়ে ১২টায় ভবতারিণীকে ভোগ নিবেদন করে বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। সেই দিন বিকেলে আর তা খোলা হবে না। পরের দিন অর্থাত্ শনিবার সকাল ৮টায় পুনরায় মন্দিরের সিংহদুয়ার খুলে দেওয়া হবে জনসাধারণের জন্য। অতিমারির কথা মাথায় রেখেই প্রাথমিক ভাবে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল নামে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির চত্বরে। তবে অতিমারী করোনা এবার বদলে দিয়েছে পূর্ববর্তী সকল পরিস্থিতি।