হুঁশ ফেরেনি এখনো ভারতবাসীর, দূষণে রাজধানী
দীপাবলির পরে রাজধানী দিল্লির অবস্থা সঙ্কটজনক, দিল্লির অনেক অঞ্চলে AQI পৌঁছে গেছে ৯৯৯

পৃথা কাঞ্জিলাল : অতিমারীতে এবার বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাই মানলেন না বহু মানুষ ,করোনা যে সচেতনতা গড়ে তোলে নি তা আরো একবার স্পষ্ট হল দীপাবলির রাতে। সেই বাজির ধোঁয়ায় ধোঁয়াশার সৃষ্টি হল দেশের রাজধানী দিল্লি, এনসিআর ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন অংশে।
দিল্লির (Delhi) বায়ু মানের পারদটি দীপাবলির রাতে ভয়ংকর অবস্থায় পৌঁছেছে এবং এই মুহূর্তে দিল্লির অনেক অঞ্চলে AQI পৌঁছে গেছে ৯৯৯ এ। ভোরে দিল্লিতে ভোর চারটায় রেকর্ড করা পরিসংখ্যান অনুসারে একিউআই গুরুতর অবস্থায় ছিল। এমনি তেই দিল্লি দীপাবলির পর বেশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে বলেই আমরা জানি এবং শুনে ও এসেছি যার ফলে উত্তর দিল্লি পৌর কর্পোরেশন সদর বাজার এলাকায় দূষণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে মধ্যরাতে জল ছেটাতে বাধ্য হয়। উত্তর দিল্লির মেয়র জয়প্রকাশকে দূষণ কমাতে হট স্পট এলাকায় ফগিং করতেও দেখা গেছে।
এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভালো করোনা সংক্রমণের পর সুস্থ হয়ে উঠলেও করোনা রোগীর ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে। যার ফলে বাজির ধোঁয়া ও তার ফলে হওয়া বায়ুদূষণ (Air Pollution)করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এবং যারা করোনা পসিটিভ ও তাদের পক্ষে মারাত্মক। এই কারনে দেশজুড়েই এবার বাজি (Crackers)পোড়ানো নিষিদ্ধ হয়েছিল। প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও দিল্লিতে যে বাজি পোড়ানোতে লাগাম দেওয়া যায়নি তার তথ্য বলছে এই পরিসংখ্যানই।
বাংলাতেও পুরো নভেম্বর মাস জুড়েই বাজি কেনা, বিক্রি ও ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশকে কড়া হাতে বাজি ক্রয়-বিক্রয় বা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও দিল্লি র মতন কলকাতাতেও(Kolkata) বেশ কিছু জায়গাতে বেশ কিছু অঞ্চলে বাজি ফাটাবার করে বাজি পোড়ানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এবং পাল্লা দিয়ে কলকাতা র অবস্থা ও ভয়াবহ।