বোনের প্রেমের সম্পর্ক মানতে পারেনি দাদা তাই রাস্তায় পিটিয়ে খুন তরুণ প্রেমিককে
নৃশংসভাবে রাস্তার ওপর হয় মারধর, প্রথমে অভিযোগ নিতেও অস্বীকার করে পুলিশ

দেবশ্রী কয়াল : এখনও সমাজে প্রেমের সম্পর্ককে মেনে নেওয়া হয় না। কেউ কোনো সম্পর্কে জড়ালে তাদের রীতিমত মারধর করা হয়। আর এমনটাই ঘটল এবার খোদ রাজধানী দিল্লি শহরে। বোনের সাথে এক সদ্য যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠাতেই আপত্তি দেখায় তরুণীর দাদারা ও আত্মীয়েরা। আর তার জেরেই নিজের বাড়ির বাইরেই ১৮ বছরের তরুণকে পিটিয়ে মারা হল। এরপর ওই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে।
ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার সন্ধ্যেবেলাতে। সেদিন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেন লার্নিং স্কুলে পাঠরত রাহুল রাজপুতকে তাঁর আদর্শনগরের বাড়ি থেকে ডেকে বের করে বেশ কয়েকজন অচেনা মানুষ। তারপরেই শুরু হয় তার উপরে ব্যাপক মারধর। তখন ভিড়ের মধ্যে থেকেই একজন বেরিয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলে, “আমার বোনকে রাহুল উত্যক্ত করেছে তাই মারছি।” ওই দলে প্রায় পাঁচজন ছিল। প্রায় আধমরা অবস্থায় রাহুলকে ফেলে যায় তাঁরা। তখন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওযা হয় রাহুলকে। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে রাহুলকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিজয়ন্ত আর্য বলেন, “ছেলেটির শরীরে তেমন কোনও ক্ষত ছিল না, তলপেটে হঠাত্ আঘাত লেগে তিনি মারা যায়।” কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন মারা হল তাঁকে এত নৃশংস ভাবে? এই ক্ষেত্রে রাহুলের কাকু এবং পুলিশ একই যুক্তি দিচ্ছে। তাঁদের কথায়, এলাকারই একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল দু’বছর ধরে। মেয়েটির পরিবার কখনো এই সম্পর্ককে সুনজরে দেখেনি। মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে না করা সত্ত্বেও কোনও পক্ষই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে না আসতেই মেয়েটির দাদা তাঁকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার পরিকল্পনা করে। রাহুলকে তার বাড়ি থেকে বের করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় নন্দ রোড অঞ্চলে। সেখানেই তার উপর চলে অবাধে মারধর। ছেলেটির পরিবারের অভিযোগ পুলিশও প্রথম দফায় কোনও অভিযোগ নিতে চায়নি। কারণ ছেলেটির শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। পরে সে মারা যাওয়ার পরেই পুলিশের টনক নড়ে, এবং লিখিত অভিযোগ লেখে।