কলকাতার সুলভ শৌচালয় গুলিকে কেন্দ্র করে বাড়ছে সংক্রমণের চিন্তা
বিধিনিষেধ না মেনে এরূপ পদ্ধতিতে পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের ফল কি হতে পারে তা ভেবেই এখন চিন্তায় পুরকর্তারা

পল্লবী কুন্ডু : চিন্তা বাড়ছে কলকাতার সুলভ শৌচালয় গুলিকে কেন্দ্র করে। সংক্রমণকে এড়ানোর জন্য যা যা বিধিনিষেধ ধার্য করেছিল তার কোনো বালাই না রেখেই চোখে কলকাতা পুরসভার(KMC) শৌচালয় ব্যবহার। মাস্ক না পরে শৌচালয়ে ঢুকছেন সাধারণ মানুষ, অন্যদিকে যাঁরা কাউন্টারে বসে টাকা নিচ্ছেন সেই কর্মীরাও নাক-মুখ খোলা রেখেই বসছেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এ অভিযোগও উঠছে যে, অনেকে আবার বাইরে নাক-মুখ ঢাকা থাকলেও শৌচালয়ে ঢুকেই মাস্ক খুলে ফেলছেন। এই অভিযোগ ওঠায় তা স্বীকার করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা।
বিধিনিষেধ না মেনে এরূপ পদ্ধতিতে পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের ফল কি হতে পারে তা ভেবেই এখন চিন্তায় পুরকর্তারা। এই বিষয় নিয়ে পুরসভার বিভাগীয় প্রশাসক ও প্রাক্তন মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, ‘সুলভ শৌচালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও সংস্থাকে স্যানিটাইজার রাখা এবং কর্মীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঠিকভাবে মাস্ক মুখে না থাকলে শৌচালয়েই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তি জারি রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার উত্তরের গিরিশ পার্ক, শ্যামবাজার মানিকতলা ও দক্ষিণের হাজরা, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ একাধিক এলাকায় নিয়ম ভাঙ্গার ছবি নজরে এসেছে। কোথাও কর্মীদের মুখে মাস্ক নেই তো আবার দ্রুত ঢুকে পড়া ব্যবহারকারিদের নাক-মুখ সম্পূর্ণ খোলা। তবে পুরসভার সতর্কবার্তা মেনে অধিকাংশ টয়লেটে স্যানিটাইজার রাখা আছে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা অনেকেই নিজ নিজ স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছেন। শহরে এখন ৩৭০টি সুলভ শৌচালয়েই আগের তুলনায় কম সংখ্যায় মানুষ প্রাকৃতিক ক্রিয়া-কর্মে ঢুকছেন বলে স্বীকার করেছেন পুরসভার প্রশাসক। স্বপনবাবু আরো জানিয়েছেন, ‘শহরজুড়ে কোনও সমীক্ষা করা না হলেও কর্মীদের রিপোর্ট পেয়ে বলছি, করোনা সংক্রমণের ভয়ে পাবলিক টয়লেটে লোক এখনও কম যাচ্ছেন।’
ধর্মতলা, বড়বাজার, হাতিবাগান, হাজরা, মৌলালি, আলিপুর, ভবানীপুর, শিয়ালদহের মত জনপদে আরও নতুন কিছু সুলভ শৌচালয় নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কারণ, এই এলাকাগুলিতে আরও প্রচুর সংখ্যায় ‘পাবলিক টয়লেট’-এর চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার বিভাগীয় প্রশাসক। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে বিপুল হারে বেড়েছে নতুন দফার সংক্রমণ। চিন্তার মেঘ গোটা চিকিৎসক মহল জুড়ে। তাই অতিসাবধাণতা অবলম্বন করে না চললে আবারো বিপদ নিশ্চিত।