সাস্থসাথী কার্ড-এ হলো না চিকিৎসা, সাহায্যের হাত পাশে না পেয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর বাসনাতে তৃণমূলের বুথ সভাপতি ইমরান আলী
পাইনি কোনো সরকারি সাহায্য, মিলেছে দুয়ারে দুয়ারে প্রত্যাখ্যান

তিয়াসা মিত্র : সাস্থসাথী কার্ডে পাইনি চিকিৎসা। যে দলের হয়ে কাজ করেছে মালদহের রতুয়ার বাসিন্দা ইমরান আলি, আজ পঙ্গু হয়ে বিছানাতে শুয়ে চাইছে স্বেচ্ছামৃত্যু। সাস্থসাথী কার্ড বা সরকারি সাহায্য কোনো কিছুই পাচ্ছেনা তৃণমূলের বুথ সভাপতি ইমরান আলী। তার অভিযোগ, দুয়ারে দুয়ারে প্রত্যাখ্যান মিলিয়েছে, পাইনি কোনো সুযোগ সুবিধা। এক সময় ছুটে বেড়াতেন রতুয়া দুই নম্বর ব্লকের আড়াইডাঙার পীরপুর এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ইমরান। কেউ বিপদে পড়লে পাশে দাঁড়াতেন, সাহায্য করতেন। আজ সেই ইমরান শয্যাশায়ী। তিনি নিজেই সাহায্যপ্রার্থী। এক ডাকে সকলেই চেনেন ইমরানকে। কিন্তু আজ তিনি একা লড়াই চালাচ্ছেন। সেই লড়াইয়ে ‘হার মেনে’ স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছেন ইমরান।
এই বিষয়কে নিয়ে আমাদের ওপিনিয়ন টাইমস কথা বলেছে বিজেপি দলের নেতা অম্বুজ মোহান্তি-এর সাথে। তিনি জানিয়েছেন- ” এই রাজ্যের উন্নতি ততদিনে হওয়া সম্ভব নয়, যতদিনে রাজ্যে ঘটতে থাকা লেকপুলিং পলিটিক্স বন্ধ হচ্ছে।” তার মতে সেই যুবক অবিলম্বে ” আইয়ুষ্মান ” চিকিৎসা প্রকল্প-এর জন্য আবেদন করুক।

এরই পাশাপাশি আমরা কথা বলে নিয়েছিলাম, সিপিআইএম নেতা সুভাষ মুখার্জী-এর সাথে যেখানে তিনি বলেন, ” তৃণমূল কগ্রেস-এর কোনো স্থায়ী সম্পদ নেই তাই কোনো প্রকল্প টেনে নিয়ে যাওয়া আগামীদিনে সম্ভব না। দুয়ারে প্রকল্প-এর ভেতর যেই এই সুবিধা গুলি মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন বা দিয়েছেন সেইগুলি সব ‘ চমকদারি প্রকল্প ‘ আমার মতে বিষয়ে গুলি রাজনৈতিক একটি পরিকল্পনা অর্থাৎ ভোট সময়ের আগে এই প্রকল্প গুলি শুরু হয়েছে এবং পরসময়ে সেই প্রকল্পগুলি হয়ে পড়েছে অচল। ” তবে আমরা তৃণমূল দল-এর সদস্যদের কাছ থেকে এই ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন করে কোনো প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করতে পারিনি।

সর্বোপরি দলাদলি, সাধারণ মানুষের যে দুঃখ এবং বেদনা , সাহায্যের হাত পাশে না পেয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর বাসনা মনে জাগানো এই সবই সমাজের এক কালো দিক প্রদর্শন করে আমাদের সামনে বারেবারে এবং আজ ইমরানের ঘটনা আমাদের সেই দিক চোখে আঙ্গুল দিয়ে আবারো দেখিয়ে দিলো .