শারীরিক বিপদ মুক্তির পথে আলোচনা সভা : জেনে রাখুন
সমাজ আধুনিক হওয়ার সাথে সাথে বিপদও বাড়ছে ক্রমশ। জেনে নেওয়া দরকার আপনার শরীর কি বলছে !

নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি (গতকাল ৮ মে ২০২২) পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, চন্দননগর কলেজ এবং ট্রিপলিস সংস্থার যৌথ উদ্যোগে “নিশ্চল জীবনশৈলী খাদ্য স্বভাব এবং শারীরিক বিপদ : একবিংশ শতাব্দীর একটি চ্যালেঞ্জ” (Sedentary Lifestyle, Food Habits and Health Hazards : Challenges of the 21st Century) শীর্ষক আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা চন্দননগর কলেজ, হুগলীতে অনুষ্ঠিত হলো। এই আন্তর্জাতিক আলোচনা সভায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিজ্ঞানী, শিক্ষক, চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক পেশাদার ব্যক্তি, শারীর শিক্ষার বিশেষজ্ঞ, ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। এই আন্তর্জাতিক আলোচনা সভায় মেডিকা গ্রুপ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ রবীন চক্রবর্তী, ত্রিপিটক গবেষণা সমিতি, বাংলাদেশের ডঃ সুমনাপাল ভিক্ষু, জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ অগ্নিক পাল, প্রাক্তন MR. এশিয়া প্রসেনজিৎ (রাজা) ঘোষ, জনস্বাস্থ্য বিভাগ, থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনির্বাণ সুকুল, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডঃ বিপ্লব কুমার মোদক, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ডঃ দেবব্রত দেবনাথ, চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ দেবাশীষ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই আন্তর্জাতিক আলোচনা সভায় প্ৰায় ৭৫টি ভিন্ন ভিন্ন উপস্থাপনার মাধ্যমে বক্তারা বলেন স্থূলত্ব এবং নিশ্চল জীবনশৈলী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে মহামারীর পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এগুলি খুব সূক্ষ্মভাবে ক্রনিক রোগ, অসামঞ্জস্য দৈহিক কার্যকলাপ এবং জীবনযাত্রার গুণমানের বোঝার জন্য দায়ী। এই আলোচনা সভায় নিশ্চল জীবনশৈলীর বৈজ্ঞানিক ধারণা, সংজ্ঞা এবং বিপদের ব্যাপারে অন্তর্দৃষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি নিশ্চল জীবনশৈলীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিরোধ মূলক এবং নিরাময়কারী পন্থা গ্রহণের ওপর যেমন আলোকপাত করা হয় তেমনি শারীরিক সক্রিয়তার গুরুত্ব এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ (হৃদরোগ, মধুমেহ, অন্ত্র /অগ্ন্যাশয়/কোলন ক্যান্সার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ক্ষেত্রে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার প্রয়োজনীয় রদবদল ও শারীরিক সক্রিয়তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তথ্যসমূহ বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন এই আন্তর্জাতিক সেমিনার থেকে প্রাপ্ত তথ্য গুলি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিদ্যালয় স্তরে নবীন শিক্ষার্থীদের স্থূলত্ব এবং তার সমস্যার অগ্রগণ্য কারণের ব্যাপারে একদিকে সচেতনতা সৃষ্টি করবে আবার অন্যদিকে শরীরচর্চার সংস্কৃতি গঠনের লক্ষ্যে শারীরিক সক্রিয়তার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে নবীন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে সচেতনতা বিস্তারে সাহায্য করবে।