মেরামতির কাজ শুরু হলেও প্রবল জলসংকটে ভুগছে দুর্গাপুর ও সংলগ্ন বাঁকুড়ার বাসিন্দারা
রবিবার সকালে জল সরবরাহ করা হয়েছিল দুর্গাপুরে, কিন্তু রবিবার বিকেলের পর থেকে আর জল আসেনি।

পল্লবী কুন্ডু : দুর্গাপুর ব্যারেজের(Durgapur Barrage) ৩১ নম্বর লকগেট ভাঙার জেরে বিশাল সমস্যার মুখে পড়েছে একাধিক ক্ষেত্র। জলের যোগান বন্ধ হয়েছে। এই সমস্যার জেরে অত্যন্ত জলসংকটে ভুগছেন দুর্গাপুর(Durgapur) ও সংলগ্ন বাঁকুড়ার বাসিন্দারা। রবিবার সকালে জল সরবরাহ করা হয়েছিল দুর্গাপুরে। কিন্তু রবিবার বিকেলের পর থেকে আর জল আসেনি। ফলে সোমবার থেকেই দুর্গাপুরে জলের সংকট আরো প্রকট হয়েছে। অবশ্য তাদের এই সমস্যা যাতে কিছুটা নিবারণ করা যায় তার জন্য দুর্গাপুর নগর নিগমের ট্যাঙ্কারে করে পানীয় জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেও পড়ছে লম্বা লাইন। কিন্তু তাতেও প্রয়োজনীয়তা মিটছে না বলেই জানিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। সমস্যা হয়েছে সংলগ্ন বাঁকুড়ার বড়জোড়া এলাকাতেও। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা থেকে জলের পাউচ পাঠানো হয়েছে বলে খবর। বাসিন্দাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখছে প্রশাসন।
অন্যদিকে জলের যোগান বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুত্ উত্পাদন বন্ধ হয়ে গেল দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড বা ডিপিএলে। তবে তার ফলে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুত্ সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানানো হয়েছে ডিপিএলের তরফে। তবে তিনদিনের মাথায় অবশেষে শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ। গত শনিবার সকালেই ভেঙেছিল ৩১ নম্বর লকগেট। তারপর থেকে ক্রমাগত জল বেরিয়ে যেতে থাকে। ফলে একটা সময় এসে বন্ধ হয়ে যায় জলের যোগান। সোমবার পর্যন্ত ডিপিএলের ৭ নম্বর ইউনিট কোনও রকমে কাজ করলেও মঙ্গলবার থেকে বিদ্যুত্ পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে, দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের পাবলিক রিলেশন অফিসার স্বাগতা মিত্র জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে দুর্গাপুর ব্যারেজে লকগেট ভাঙার পরেও বিদ্যুত্ উত্পাদন বন্ধ হয়নি। কিন্তু এবার সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ৭ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হয়। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ডাবলুবিএসইডিসিএল-এর তরফে বিদ্যুত্ সরবরাহ করা হয়। তাই বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুত্ উত্পাদন ফের শুরু করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি মেরামতির কাজ কত শীঘ্রই শেষ করা যায় সেদিকে নজর রাখছে সেচ দফতরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা।