গাফিলতি হলেই অপসারিত করা হবে আধিকারিককে, সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের
২১এর নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে, তবে বৈঠকে সন্তুষ্ট নন সুদীপ জৈন

দেবশ্রী কয়াল : কী হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে, প্রশ্ন এখন সবার মনে। আর এবারের ভোট যে সবথেকে আলাদা হতে চলেছে তা একদম বলা বাহুল্য। রাজ্যের রাজনীতি হয়ে রয়েছে উত্তাল। এবং যাতে এই সময় কোনোরকম গাফিলতি না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই করা হল সতর্ক। জানানো হয়েছে, নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে যদি নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো রকম গাফিলতির অভিযোগ ওঠে, তাহলে সেই মুহূর্তেই অবিলম্বে সেই আধিকারিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আর সেক্ষেত্রে তাকে শোকজ করার সুযোগ দেওয়া হবে না, সরাসরি সেই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হবে। সম্প্রতি এমনটাই সিদ্ধান্ত সাফ নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফ থেকে।
আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। তাই সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাই সম্প্রতি তাদের তরফ থেকে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন দ্বিতীয় দফায় বাংলায় এসেছিলেন। আসার পর এই নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য বাংলার জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। গতকাল বুধবার তিনি করেন বৈঠক। এদিন তিনি ২০১৯-র লোকসভা ভোট ও ২০১৬ এর বিধানসভা ভোটের আগের পরিস্থিতি জানতে চান।
যান যাচ্ছে এই বৈঠকের পর আগামী সপ্তাহেও আবারও রাজ্যের জেলা শাসক, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন তিনি।এবং আগামি বৈঠকের লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তার সামনে পেশ করার নির্দেশও দিয়ে গিয়েছেন তিনি। কারন এবারে তার সামনে যে সকল নথি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তাতে তিনি মোটেও সন্তুষ্ট হননি।