নির্বাচন কমিশনের তিন কর্তা হাজির রাজ্যে, শুরু হল নির্বাচনের প্রস্তুতি
বাংলায় নির্বাচনের দামামা বেজেছে, আরও কোমর বেঁধে ময়দানে সকল রাজনৈতিক দল

দেবশ্রী কয়াল : বাংলার রাজনীতি এখন সরগরম। দল থেকে ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছে শুভেন্দু, তার বিজেপিতে যোগদান করা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। ভোটের আগে আগেই চলছে নানান সব প্রস্তুতি। বাংলায় ক্ষমতায় আসার জন্যে প্রত্যেকটি দল লড়ছে মরিয়া ভাবে। আর এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন নিয়ে কারন গতকাল রাতে রাজ্যে পা রেখেছেন নির্বাচন কমিশনের (Election Commission Of India) তিন কর্তা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যে বেলা কলকাতায় পৌঁছন উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন (Sudip Jain)। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ছয় জেলার ডিএম,এসপির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তাঁর এই রাজ্য সফরে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা সহযোগিতা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আবেদন করেছেন সুদীপ জৈন।
জানা যাচ্ছে, আজ উপনির্বাচন কমিশনার বৈঠক করবে দুই বর্ধমান দুই মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। এর পরে কাল মালদহ, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। আজ বেলা তিনটে নাগাদ ডেপুটি নির্বাচন কমিশনরার সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। এর পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের কমিশনার, সিইও ও অন্য আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন সুদীপ জৈন। এরপর বিকেল চারটে থেকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। সেখানে বাম-তৃণমূল-বিজেপি-কংগ্রেস সব পক্ষই উপস্থিত থাকবেন।
এইমুহূর্তে বাংলার রাজনৈতিক মহল বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। ২১ শের বিধানসভার ভোটে জয়লাভ করতে নানান রকম রণকৌশল নীতি তৈরী করছে সব দলগুলি। একদিকে রয়েছে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল (TMC), যারা নিজেদের জায়গা ধরে রাখার জন্যে সকল রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে রয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)। যারা বাংলা দখল করার জন্যে হয়ে উঠেছে মরিয়া। এছাড়া এবারে একসাথে হাত মিলিয়ে বাম ও কংগ্রেস (Left And Conggress)। তারাও যৌথভাবে করছে পরিকল্পনা, করছে নানান বৈঠক।
তাই এমন সময় পরিস্থিতি কতটা গুরুতর তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চায় কমিশন। পাশাপাশি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ভোটদান নিয়ে প্রস্তুতি। বুথ পুনর্গঠন, ইভিএম মেশিনের কার্যকারিতা যাচাই, ভোটার তালিকাকরণ এই সব বিষয়েই কথা হতে পারে। এও জানা যাচ্ছে যে হয়ত পুরসভার ভোট আগামী বছর মার্চ মাসের দিকে হতে পারে। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গোটা বিষয়টিই এখন রয়েছে আলোচনা পর্যায়ে। তবে সুদীপ জৈনের এই সফরের মধ্য দিয়েই রাজ্যে সরকারিভাবে নির্বাচনের দামামা বেজে গেল, যা চলবে এখন আগামী পাঁচ-ছয় মাস। অর্থাৎ বিধানসভার ভোটের যে দামামা বেজে গেছে তা বললে বোধ হয় খুব ভুল হবে না।