হাতি হানা রুখতে বিদ্যুতের বেড়া, প্রাণ গেলো অবলা প্রাণীটির
মারণফাদঁ ! হাতির যাতায়াত রুখতে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে বাড়ি

পল্লবী কুন্ডু : আবারো অমানবিকতার চরম পর্যায় উঠলো মনুষ্য ধর্ম। হাতির হানায় নাজেহাল হয়ে উঠেছিল। যখন-তখন বাড়িতে ঢুকে পড়তো, লন্ড-ভন্ড করতো ঘরের জিনিস। কোনোভাবেই আটকানো যাচ্ছিলো না হাতিদের আনা-গোনা। কিন্তু তাই বলে এমন মারণফাদঁ ! বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে বাড়ি। তবে অবলা প্রাণীটা বোঝেনি যে তার আসাযাওয়া রুখতে কী মারণফাঁদই না পেতে রেখেছেন গৃহস্থ। তাই তো কিছু না বুঝেই খেয়ালের বশে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে যায় সে। আর তাতেই বিপত্তি।
প্রাণ দিয়ে খেসারত চোকাতে হলো হাতিটিকে। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালবাজারের নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানের খেরকাটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাতির মৃত্যুর তদন্ত করে ওই গৃহস্থের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার আশ্বাস বনদপ্তরের। এদিন সকালে মালবাজারের (Malbazar) নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানের খেরকাটায় মফিজুল হক নামে এক ব্যক্তির সুপারি বাগানে ওই মাকনা হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় খেরকাটা বিট, খুনিয়া রেঞ্জ ও নাগরাকাটা থানায়। পুলিশ খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, যেখান থেকে হাতির মরদেহটি পাওয়া গিয়েছে ওই বাড়ির চারপাশ বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘেরা ছিল। কোনওভাবে ওই বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় হাতিটি। তার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তার। ওই বাড়ির মালিকের খোঁজখবর শুরু হয়েছে। কেন তিনি বাড়ি বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে বনদপ্তর।
এমন ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগেও বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে আরেকটি হাতির মৃত্যু হয়। শনিবার সকালেও ঘটে সেই এক ঘটনা। ফলত বারংবার একই ঘটনা ঘটতে থাকায় অত্যন্ত বিরক্ত পশুপ্রেমীরা। আর এমন কাজের জন্য প্রশাসনের কাছে যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।