বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনিও কি চান ‘এভার গ্রিন’ থাকতে ? তাহলে জানুন মন্ত্র
নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার খাদ্য তালিকায়

পল্লবী কুন্ডু : বয়স বাড়ার সাথে সাথে খেয়াল রাখতে হয় খাওয়া-দেওয়ার প্রতি। যেসব ব্যক্তি খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য বিষয়টা একটু বেশিই মুশকিলের। কিন্তু করার কিচ্ছু নেই, নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার খাদ্য তালিকায়। পাশাপাশি আপনার বয়স যদি ৩০ বছর পেরিয়ে গিয়ে থাকে তবে অবশ্যই খেয়াল রাখুন আপনার ত্বকের। কারণ ২৫ বছরের পর থেকে কোষের কর্মক্ষমতা কমে। ৩৬ পর বয়সের ছাপ বা বলিরেখা বাড়তে শুরু করে। কারণ হল কোষের ডিজেনারেশন বাড়ে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে বহু বছর সুস্থ, সতেজ ও সুন্দর থাকা যায়।
তাহলে চলুন আজ এই বিষয় নিয়েই জেনে নেওয়া যাক যে কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেই প্রাকৃতিক নিয়ম মেনেই হাড়ের ঘনত্ব কমে। হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হতে শুরু করে। ব্যথা বাড়ে। তাই হাড় মজবুত করতে ভিটামিন সি, ডি ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খান। হাড় গঠনের মূল উপাদান ক্যালসিয়াম, কোলাজেন ও আমিষ। তাই প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই খান। কম বয়সে অনেক মানুষ দিন-রাত খেটেপিটে নেন কিন্তু তখন মালুম না পেলেও সেই ফল তারা ভোগ করেন বয়স বাড়ার সাথে সাথে।
তাই কাজ করার পাশাপাশি সময় মতো খাবার খেতে হবে। সময়ে খাবার না খাওয়া শরীরের ওপর এক ধরনের অত্যাচার। তাই ৩০ পেরলে অবশ্যই সকাল-দুপুর-রাতের খাবার সময় মতো খান।সবুজ শাকসবজি, বিশেষ করে পালংশাক খান। কারণ পালংশাকণ পুষ্টিতে ভরপুর। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও নানান খনিজ। ভিটামিন এ, বি২, সি, ই, কে, ,আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, কপার ও ফসফরাস। পাশাপাশি অ্যালকোহল না খেলেই ভালো হয়। এ সময় শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। অ্যালকোহল তা আরও বাড়িয়ে দেয়। শরীর দ্রুত ভেঙে যায়। কলা খুব উপকারী খাবার, এর খাদ্য ও পুষ্টিগুণ প্রচুর। ৩০ বছরের পর নিয়ম করে কলা খান। শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে কলা।
তাই এভার গ্রিন ( Ever green) থাকার জন্য অবশ্যই আপনাদের মেনে চলতে হবে খাবারের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিয়ম, যা আপনাকে চিরকালীন সুস্থ ঠকতে সাহায্য করবে।