খামারের মুরগিতে ভয় নেই বার্ড ফ্লু সংক্রমণের, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
কেন খামারের মুরগিদের নেই বার্ড ফ্লু এর সম্ভাবনা জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেই

মধুরিমা সেনগুপ্ত : করোনা কাটতে না কাটতেই যেন এ আরেক বিপদ। গতবছর করোনার সংক্রমণের সময় রটে গিয়েছিলো যে উহানের মাংসের বাজার থেকেই নাকি ছড়িয়েছে করোনা। তাই মুরগির মাংস খেলেও করোনা হবে। ফলে দলে দলে লোক মুরগির মাংস কেনা বন্ধ করে দেয়, ফলে দাম একলাফে বেশ অনেকটাই কমে গেছিলো মাংসের। আর এবার বার্ড ফ্লুয়ের (Bird Flu) ভয়ে আরেকবার মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করতে চলেছে বহু লোক।
ইতিমধ্যেই ১০টি রাজ্য বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত এমনটাই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই রাজ্যগুলো ছাড়াও বাকি বেশ কিছু রাজ্যে কমেছে মাংসের দাম। ভয় পেয়ে মাংস খাওয়া ছাড়ছেন অনেকেই, যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। সুগুনা ফুড প্রাইভেট লিমিটেড-এর কর্তা সৌন্দরারাজন বলছেন,”করোনার মতো বার্ড ফ্লু নিয়েও মানুষ অকারণেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।” তার কথার ব্যাখ্যা দিতে তিনি আরো বলেন,”খামারের মুরগির এই ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। শীতকালে সাইবেরিয়া এবং অন্যান্য শীতের জায়গা থেকে উড়ে আসে পরিযায়ী পাখি। তারাই বয়ে আনে এইচ৫এন১। সাধারণত জলাধারের কাছে থাকে এই পাখিরা। আক্রান্তদের লালারস, চোখ বা নাকের জল থেকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস। সংক্রামিত হয় অন্য পাখিরা।যার জন্য মুক্ত পাখিরাই মূলত সংক্রামিত হয়। খাঁচা বা খামারের মুরগি বা পাখিদের হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।”
মুম্বাইয়ের পশু হাসপাতালের চিকিত্সক এএস রানাডেও একই কথা বললেন। তার কথায়,”খামারে মুরগি খাঁচায় রাখা হয়। প্রত্যেকটির জন্য আলাদা খাঁচা বরাদ্দ। নীচে পাতা থাকে খড়। পরিযায়ী পাখির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাই নেই।” পুনের ভেঙ্কটেশ্বর হ্যাচারি-র কর্তা প্রসন্ন পেড়গাঁওকার বললেন,”খামারের মুরগিকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানো হয়। টিকার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই রোগের সম্ভাবনা কম।” বিশেষজ্ঞদের মতে এভাবে ভয় পেয়ে বা গুজব রটিয়ে কোনো লাভ নেই। সরকারকেই সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে সতর্ক করতে হবে, নাহলে এভাবেই আরো ক্ষতির মুখে পড়বেন খামারের মালিকেরা।