নতুন বছর এখন না, যেদিন সদুত্তর মিলবে সেদিনই তাদের কাছে নতুন সময় !
যতক্ষণ না কেন্দ্র সরকার তাঁদের দাবি দাওয়া মেনে নিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত নতুন বছরের কোনও উত্সব পালন করবেন না তাঁরা, জানালেন কৃষক নেতা হরজিন্দর সিং

পল্লবী কুন্ডু : ক্যালেন্ডারের তারিখ বদলালো শুধু, নতুন কোনো কিছুই নয়। যখন গোটা পৃথিবী মেতেছে নতুন বছর উৎযাপনে, তখনও মানুষগুলো শুধুমাত্র নিজেদের দাবি নিয়ে প্রহর গুনছে। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় যখন ঘন কুয়াশার চাঁদরে মুড়েছে রাজপথ তখন একটা শীতবস্ত্র এবং একটা কম্বলকে ভরসা করে রাতের পর রাত কাটছে অনিদ্রায়। নতুন বছরের সামান্য উচ্ছাস টুকু নেই তাদের মধ্যে, কিন্তু কেন ?
পঞ্জাবের রোপুরের কৃষক নেতা হরজিন্দর সিং জানালেন, যতক্ষণ না কেন্দ্র সরকার তাঁদের দাবি দাওয়া মেনে নিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত নতুন বছরের কোনও উত্সব পালন করবেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি দাওয়া না মানা হলে, কোনও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে চান না তাঁরা। গত বুধবার কৃষক নেতা ও কেন্দ্রের মধ্যে যে বৈঠক হয়, তা সদর্থক বলেই জানায় কেন্দ্র। তবে তাতেও খুব একটা সন্তুষ্ট নন কৃষকরা। তাঁদের বক্তব্য এখনই উত্সব পালন করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।
পাশাপাশি, বুধবার কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর(Narendra Singh Tomar) জানান, আলোচনা আরও হবে। যতক্ষণ না কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসছে। তবে তার কথায় এ কথা স্পষ্ট যে, গত বুধবারের বৈঠকে সমাধানের এক খোঁজ মিলেছে। পরিবেশ সংক্রান্ত একটি ইস্যুতে এক মত প্রকাশ করেছে কেন্দ্র এবং কৃষক সংঘঠন। পারালি বা বিচালি পোড়ানোর বিষয়টিতে সহমত হওয়া গিয়েছে। চারটি ইস্যুর মধ্যে দুটি ইস্যুতেই কেন্দ্র ও কৃষক মত মিলেছে। সাথে নতুন কৃষি বলের বিষয়ে পুনর্বিবেচনার করার আর্জি মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের প্রতিটি দাবি দাওয়া খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে কৃষিমন্ত্রীর তরফে।
কৃষি মন্ত্রী জানিয়েছেন কিষাণ ইউনিয়ান নেতারা শান্তি বজায় রেখে কেন্দ্রের বার্তা শুনেছেন। তাই এই বৈঠকের পরে খুব দ্রুত কোন সিদ্ধান্তে ও সমাধানে পৌঁছনো যাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। বিদ্যুত্ আইন নতুন করে ভেবে দেখার ব্যাপারে দাবি জানিয়ে ছিলেন কৃষক নেতারা। সেই ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে বলে তোমর জানান। এছাড়াও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এমএসপি সিস্টেম নতুন করে খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। নূন্যতম সহায়ক মূল্য যাতে কৃষকরা পান, তার ব্যবস্থা এই কমিটি করবে বলে জানানো হয়েছে। ষষ্ঠ দফার বৈঠক চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে।
পাশাপাশি, এই মুহূর্তে দিল্লিতে প্রচন্ড ঠান্ডার দরুন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষক নেতাদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে তারা যেন শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের বাড়ি ফেরত পাঠায়।