দিওয়ালির বাজার সরগরম, আলোর বাজার অগ্নিমূল্য
আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে চিন্তায় পড়েছে আমজনতারা, চোখে পড়ার মতন ভিড় নেই এই বছর

পৃথা কাঞ্জিলাল : আলোর উৎসবে সামিল হতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য ছোটো ছোটো দোকানে সাজিয়ে বিক্রি চলছে মোমবাতি থেকে প্রদীপ, আতসবাজি থেকে রঙ্গোলির রঙ। দশকর্মার দোকানে লাইন লাগিয়েছেন পাড়ার ছোটো বড় ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা যাবতীয় পুজোর সরঞ্জাম কিনতে। পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে আতশবাজি ও, আগের বছরের মতন ভিড় না হলেও দোকানে মিলছে রং মশাল, চরকি, তুবড়ি, রকেট, চটপটি, তারা বাতি, ফানুস এবং আরও রকমারি বাজি(Fire Crackers)। প্রতিবারের মতন বাজি বিক্রেতাদের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সাধারণ । একেই করোনা তার ওপরআকাশছোঁয়া জিনিসের দাম সহজে পাওয়া যায় এমন বাজির খোঁজ করছে আমজনতা। উত্তর কলকাতার প্রাণকেন্দ্র কুমোরটুলিতেও ভাটা পড়েছে মানুষের আনাগোনার। মৃত্শিল্পীদের বানানো মাটির প্রদীপ কিনতে আসা ক্রেতারা নিরাশ হচ্ছেন অনেকেই।
অন্যদিকে টুনি লাইটের ডিমান্ড বাড়লেও নতুন কোনো মাল আনা যায়নি বাজারে । পুরোনো কিছু মডেল ও ডিজাইনের টুনি কিনেই মানুষ নিজের ইচ্ছে পূরণ করছে। তবে আগের বছরের তুলনায় টুনি লাইটের দাম ও আকাশছোঁয়া। ১১০ এবং ১৫০ টাকার টুনি লাইটগুলির বিকোচ্ছে ২০০তে। অন্যদিকে সবজি আর ফল বাজারও অগ্নিমূল্য। পেঁয়াজ, আলুর দাম বাড়ার পাশাপাশি দাম বেড়েছে কলা, আপেল, বেদনা এবং শসার। সব মিলিয়ে করোনার কবলে উত্সব মরশুমেও বেশ চিন্তার মধ্যে দিয়েই দিন কাটাচ্ছে আম জনতারা।ছোটো বড় ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তাদেড় মাথা এ হাত বাজারের অবস্থা দেখে।
নিউ নর্মালে এক এক করে সব স্বাভাবিক হলেও সবাইকে পুরোনো ছন্দে ফিরতে যে এখনো অনেক সময় লাগবে সে এখনো ভাবনার বিষয়ে। হয়তো আগের বছরের মতোন এবছর রাস্তায় জন সমুদ্র দেখা যাবেনা। সামাজিক দূরত্ব মেনেই সবাই নিজের বাড়িতে বসেই কাটাবে কালীপুজোর দুটো দিন। এমনিও গোটা বছরটাই একটা কালো বছর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।তবে নিউ নর্মালে আশা করা যায় সব অন্ধকার মুছে দেশবাসী আলো উত্সবের আনন্দে মেতে উঠবেন বাড়ি বসেই।