দেবদত্তার মৃত্যুর পর করোনার গ্রাসে এবার তার চার বছরের শিশু
দেবদত্তা রায়ের শাশুড়ি মা ও চার বছরের ছেলের শরীরেও বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ করোনাভাইরাস।
পল্লবী কুন্ডু : অকালে শেষ বিদায় নিয়েছিলেন হুগলির চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়। করোনার সাথে মহা যুদ্ধে তাকে হার স্বীকার করতেই হলো। তবে প্রাণ নিয়েও যে থেমে থাকবেনা করোনা তার প্রমান বারংবার পেয়েছে সকলেই। দেবদত্তা এবং তার স্বামীর পর এবার সোয়াব টেস্ট হয় পরিবারের সদস্যদের। আজ সেই টেস্টের রিপোর্ট এলে জানা যায়, দেবদত্তা রায়ের শাশুড়ি মা ও চার বছরের ছেলের শরীরেও বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ করোনাভাইরাস। তাদের পুরো পরিবারই বাস করতেন দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায়। এরপর তৎক্ষণাৎ দেবদত্তার স্বামী পবিত্র বাবু, তার মা এবং তাদের চার বছরের ছেলেকে এলাকাধীন হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হয়।
ইতিমধ্যেই চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের মৃত্যুতে তীব্র শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি স্বামী পবিত্রবাবুকে চিঠি দিয়ে শোক বার্তাও জানিয়েছেন মমতা। পবিত্রবাবু নিজেও করোনায় আক্রান্ত, এদিন তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।অন্যদিকে দেবদত্তার অর্থাৎ তাদের সহকর্মীর এরূপ মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না রাজ্যের বিসিএস পদাধিকারীরা। গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা মহলে।
নিজের সবটুকু দিয়ে কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়। ভিনরাজ্য থেকে যে শ্রমিকরা ডানকুনি স্টেশনে ফিরছিলেন, তাদের সমস্ত কিছু দেখা শোনার দায়িত্ব ছিল দেবদত্তার। আর এই কাজ করতে করতেই যে কখন তার নিজের শরীরেই এই মারণ ভাইরাস ধীরে ধীরে দানা বাঁধছিলো তা ভুনাক্ষরেও টের পাননি দেবদত্ত। আর তারপরেই ধীরে ধীরে সর্বশান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন দেবদত্ত।