
শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস: দীপাবলিতে কোর্টের নির্দেশ না মেনে লাগামছাড়া বাজি ফাটানো, তারপর ছট পুজোতেও বাজি ফাটানোয় কম যায়নি মানুষ। উৎসবে মত্ত হয়ে পরিবেশের কথা ভুলে আজ তারই মাশুল দিতে হচ্ছে দিল্লিবাসীকে। কুয়াশা, ধোঁয়াশা ও দূষণের পরিমান এতটাই বেশি যে ঘরেও মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের একটি সার্ভেতে বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত শহরগুলির মধ্যে মধ্যে তালিকার প্রথম সারিতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে দিল্লীর নাম উঠে এসেছে। তালিকায় জায়গা করেছে কলকাতা এবং মুম্বাইও। বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্যের ফসলের গোড়া পোড়ানো, বাজির কারখানা ও বাজি পোড়ানো, গাড়ির দূষিত ধোঁয়া ইত্যাদিকে।
দিল্লির ক্রমহ্রাসমান বায়ুর মানদণ্ড স্বাভাবিক করার জন্য চিন্তিত পরিবেশ বিশারদ থেকে শুরু করে বিচারপতিরাও। তবে এখনও সচেতন হচ্ছেন না সাধারণেরা। জরুরি ভিত্তিতে দীর্ঘকালীন ফলের কথা বিচার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে হবে এমনটাই ভাবনা শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের, প্রয়োজনে দিল্লীতে দুদিনের লকডাউন ঘোষণার কথাও উল্লেখ করেছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি।