মালদা সুজাপুরের ঘটনায় দ্বিতীয় দফা তদন্তের পর মতপ্রকাশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এ কথা জানান যে,যান্ত্রিক কারনেই এই বিস্ফোরণ

পল্লবী কুন্ডু : গত পরশু অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মালদার সুজাপুরে (Malda Sujapur) প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Explosion) ঘটনার পরে পার হয়ে গিয়েছে ৪৮ ঘন্টা।গতকাল সেই ঘটনাস্থলেই এসে উপস্থিত হয়েছিল ফরেনসিক দল। শুক্রবার রাত থেকেই তদন্তে নেমে পড়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। গতকাল রাতেই তাঁরা পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। সেখানে প্রায় এক ঘন্টা সময় কাটান তাঁরা। সংগ্রহ করেন নানা নমুনাও। কথা বলেন এলাকাবাসী ও আশেপাশের এলাকায় থাকা নানা প্লাস্টিক কারখানার কর্মী ও মালিকদের সঙ্গেও। এদিন বেলার দিকে আবারও তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। তারপরেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা (Forensic Specialist) এ কথা জানান যে,যান্ত্রিক কারনেই এই বিস্ফোরণ।
রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে যাতে তাদের তদন্তে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়। রাতেই তাঁরা বিস্ফোরণস্থলে যে গর্ত তৈরি হয়েছে, তার মাপজোক করার পাশাপাশি ওই এলাকায় থাকা এই ধরনের প্লাস্টিক কারখানার মালিকদের ডেকে কথাও বলেন। প্লাস্টিক কারখানায় যে ধরনের মেশিনে বিস্ফোরণ হয়েছে সেই মেশিন কীভাবে চলে, মেশিনে কী কী যন্ত্রাংশ থাকে, মেশিনে বৈদ্যুতিক সংযোগ কীভাবে করা হয়, মেশিন কত ক্ষমতাসম্পন্ন এমন নানা বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় প্লাস্টিক কারখানার মালিকদের কাছ থেকে।
পাশাপাশি, এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিস্ফোরণ হওয়া মেশিনের অংশবিশেষের নমুনাও সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরণের পর কোথায়, কী অবস্থায় মৃতদের দেহ পড়ে ছিল সে সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। কারখানার ছবিও ক্যামেরাবন্দি করেন তাঁরা।
এর মধ্যে নতুন করে আর কারও মৃত্যু হয়নি। এখনও পর্যন্ত ৬জনই মারা গিয়েছেন। তবে আগামী দিনে মৃত্যুর সংখ্যা যে আর বাড়বে না তা এখনও হলপ করে বলতে পারছেন না চিকিত্সকেরা। কারন ৪-৫জনের অবস্থা এখনও খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনায়
ঘটনাস্থল দেখেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা হয়েছিল, নিতান্তই প্লাস্টিক কাটার মেশিন থেকে বিস্ফোরণ হয়নি। ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরণ, তা বোঝার চেষ্টায় ছিলেন তাঁরা। বিস্ফোরণের পর কোনও বারুদের গন্ধ না পাওয়ায় কি থেকে এই বিস্ফোরণ তা নিয়ে একটা সংশয় ছিলই। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বিস্ফোরণস্থলের পরিস্থিতি দেখে প্রায় নিশ্চিত যে এটা বারুদ সংক্রান্ত কোনও বিস্ফোরণ নয়।ফরেন্সিক আধিকারিক চিত্রাক্ষ সরকার জানিয়ে দেন, যান্ত্রিক কারনেই ওই কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। এদিন দ্বিতীয় দফার তদন্তের পরে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এই দুর্ঘটনা নিয়ে সম্পূর্ণ মতপ্রকাশ করেন।