‘বাড়ির ফেরার অপেক্ষায় বুদ্ধ বাবু’
এখন সুস্থ আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন ৯৮, যা সন্তোষজনক

পল্লবী কুন্ডু : এখন বেশ সুস্থ বুদ্ধ বাবু(Buddhadeb Bhattacharjee)। আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছেন তিনি। রবিবার রাইলস টিউব ছাড়াই তিনি তরল খিচুড়ি, সামান্য পাকা পেঁপে এবং আঙুর ফল খেয়েছেন। মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন থেকে বুদ্ধবাবুকে সরিয়ে বাইপ্যাপে রাখা হয়েছে। আজ হয়তো বাইপ্যাপেই থাকবেন তিনি। তবে দিন দুয়েক ধরেই বাড়ি ফেরার অস্থিরতা বেড়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তবে চিকিত্সকরা তাকে বুঝিয়েছেন। রাজনৈতিক সহকর্মী তথা বাম নেতা ডাক্তার সূর্যকান্ত মিশ্রও তাঁকে আর কয়েকটা দিন হাসপাতালে থাকতে বলায় কিছুটা শান্ত হয়েছেন বুদ্ধবাবু। রবিবার চিকিত্সকদের কাছে দলীয় মুখপত্র গণশক্তি-সহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র পড়ার আবদার করেন। খবরের কাগজ এলেও শিরোনামের বেশি কিছু পড়তেই পারেননি। সর্বক্ষণের সঙ্গী তপনবাবুই তাকে কাগজ পড়ে শুনিয়েছেন।
যখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখন তাঁর শরীরে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন ছিল ৬৮। অ্যাকিউট সিওপিডি রোগীর জন্য যা অত্যন্ত ভয়াবহ। তবে এখন শরীরের সবরকম প্যারামিটার স্বাভাবিক রয়েছে। ৭৬ বছরের বুদ্ধবাবুর অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন ৯৮, যা সন্তোষজনক। মেয়ে সুচেতনার সঙ্গে রবিবার কথাও বলেছেন তিনি।
ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে বই লিখছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে চোখের সমস্যার জন্য লেখা আপাতত বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি তিনি হাসপাতালের চিকিত্সকদের জানালে তাঁরা শ্রুতি লিখকের পরামর্শ দেন। তবে বুদ্ধবাবু তাতে সম্মত হননি। বলেন, বই লেখার জন্য প্রচুর পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছে, চোখের সমস্যার জন্য সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শনিবার হাসপাতালের চক্ষু চিকিত্সক সৌগত হালদার বুদ্ধবাবুর চোখ পরীক্ষা করেন, রবিবার তাঁর চোখে ড্রপও দেওয়া হয়। উডল্যান্ডসের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিত্সক সৌতিক পান্ডা বলেন, ”উনি যে নিজে মুখে নরম খাবার খেয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। ওঁকে মুখে খাওয়াতে গেলে উনি কী খাবার পছন্দ করছেন, জানা জরুরি। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”