Education Opinion

whatsapp , Facebook , YouTube ,Instagram এ আর মন বসছে না :কলেজ কবে যাবো ?

১০ জুন কোনোমতেই কলেজ খোলা সম্ভব নয় দাবি উপাচার্যদের

পল্লবী : যে ছেলে-মেয়ে গুলি মনের আনন্দে হাত পা মেলে একেবারে মুক্ত ডানায় সারাদিন উড়ে বেড়াচ্ছিল সেই পক্ষিরা আজ সম্পূর্ণ বন্দি। পাখিদের খাঁচায় বেঁধে রাখলে তাদের যেমন দম বন্ধের জোগাড় হয় ঠিক তেমনি অবস্থা এখন কলেজ পড়ুয়াদের। কিন্তু কি আর করা যাবে এমন দুঃসময়ে জীবনটাকে তো বাঁচাতেই হবে তাই তাদেরও অগত্যা ঘরেই থাকতে হচ্ছে, যেটা খুবই দুঃখের বিষয়। তবে ঘরে থেকে সবসময় চোখ তাদের সংবাদ মাধ্যমের দিকে যে কবে সেই তারিখ ঘোষিত হবে যেদিন আবার তারা যেতে পারবে কলেজে। কিন্তু এদিকে, উপাচার্যের চাইছেন ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অধীন কলেজগুলি বন্ধ থাকুক।

উপরিউক্ত এই মর্মেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে সুপারিশ করতে চলেছেন তারা। শুক্রবার ছিল উপাচার্য পরিষদের বৈঠক। সেখানেই ঠিক হয়েছে, এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির কাছে চিঠি পাঠানো হবে। এই বৈঠক নিয়ে এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে উপাচার্য পরিষদ কী সিদ্ধান্ত নেয়, পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে তারা কী চাইছে, তা জেনেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’‌ পরীক্ষা এবং তার পদ্ধতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সিদ্ধান্ত নেবে বলেও এদিন ফের জানান তিনি। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌আমরা সোমবারের মধ্যেই সুপারিশ-‌সহ চিঠি দপ্তরে পাঠিয়ে দেব।’‌ এদিকে আমপানের ফলেও অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে এই বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আমফানের তাণ্ডবে প্রচুর গাছ পড়ে গেছে। গাছগুলিকে বাঁচানো যায় কি না, দেখতে হবে। একান্তই বাঁচানো না গেলে, নতুন করে একটি গাছের জায়গায় পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে। তিনি বলেন, ‘‌এখনই গাছ লাগানোর পরিস্থিতি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বলব, তারা যেন এ ব্যাপারে পরিকল্পনা নেয়, কলেজগুলিকেও বলে।’‌

এদিকে গতকালের বৈঠকে ৩০ জুনের আগে কলেজ-‌বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে কী কী অসুবিধা হতে পারে, বিশদে আলোচনা করেন উপাচার্যরা। অন্যদিকে যারা জানান উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-‌সহ ৮ জেলায় আমফান-‌তাণ্ডবে বহু কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খোলার আগে সেই সব কলেজ মেরামত করতে সময় দরকার। পাশাপাশি বেশ কিছু কলেজে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হয়েছে। দুই ২৪ পরগনার বহু কলেজে আমফানের পর খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখতে নানা জেলায় অনেক কলেজ স্থানীয় প্রশাসন নিয়েছে। আমফানের পর নানা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গাছ পড়ে লন্ডভন্ড। এ অবস্থায় ১০ জুন কলেজ-‌বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব নয় বলেই বৈঠকে মত দেন প্রায় সব উপাচার্যেরা।

তাহলে গতকালের বৈঠকের আলাপ-আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে ১০ জুন কোনোভাবেই কলেজ খুলছেনা। তাই আবারো সকল ছাত্রছাত্রীদের বাড়া ভাতে পড়লো ছাই। তাই চলতি ছুটিতে মন দিয়ে বাড়িতে বসেই পড়াশোনা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading