খুললো মাস্ক ব্যাঙ্ক, বিনামূল্যে মাস্ক রাজধানী তে
কেউ মাস্ক না পরে বেরোলে বা কিনতে না পারলে মাস্ক নিতে পারেন এই ব্যাঙ্ক গুলি থেকে, রাজধানী তে অভিনব ভাবনা

পৃথা কাঞ্জিলাল : দেশে করোনায় (Corona Viirus)আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ছুঁই-ছুঁই। গত কয়েক দিনের হিসাব কষলে দেখা যাচ্ছে , করোনায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে রাজধানী সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। একাধিক পদক্ষেপের পরে অগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে সংক্রমণ কমানো গেলেও এ রাজ্যে ফের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে উত্সবের মরশুমে মানুষের ভিড়ে। তবে এই পরিস্থিতিতে এবার সকলের হাতে মাস্ক তুলে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিল উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (Delhi Municipal Corporation)।
দিল্লির পুলিশের (Delhi Police)সহায়তায় সদর বাজার এলাকায় তারা তৈরি করে ফেলল মাস্ক ব্যাঙ্ক। মাস্ক নিয়ে বেরোতে ভুলে গেলে বা মাস্ক কেনার সামর্থ্য না থাকলে এই ব্যাঙ্কে বিনামূল্যে মিলবে মাস্ক (Masks)। এতে যাঁরা মাস্ক পরে বেড়োন না, তাঁরাও কিছুটা সচেতন হবেন বলে আশাবাদী সংগঠন। সদর বাজার এলাকার বড় টুটি চকে গতকাল উদ্বোধন হয় মাস্ক ব্যাঙ্কটির। উদ্বোধন করেন উত্তর দিল্লি কর্পোরেশনের মেয়র জয় প্রকাশ। এই ব্যাঙ্কে বিনামূল্যে মাস্ক মিলবে সারা দিন এমনকি কারও মাস্ক দান করার ইচ্ছে থাকলে ব্যাঙ্কে এসে দিয়ে যেতে পারেন। এই সব কিছুর পিছনে একটাই লক্ষ্য- সবাই যেন সুরক্ষিত থাকেন এবং সচেতনতা গড়ে তোলা যাতে এমন মারণ ভাইরাসের হাত থেকে নিজেকে ও অন্যকে রক্ষা করতে পারেন।
দিল্লিতে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ব়্যাপিড টেস্টিং, মোবাইল ভ্যানে টেস্টিং বা নানা জায়গায় অক্সিমিটার বসানোর কাজ তো চলছেই। এ বার তার পাশাপাশিই বেশ কয়েকটি এলাকায় মাস্ক ব্যাঙ্ক করারও পরিকল্পনা রয়েছে উত্তর দিল্লি কর্পোরেশন ও দিল্লি পুলিশের। এ বিষয়ে জয় প্রকাশ জানিয়েছেন, কর্পোরেশন এলাকায় যত বড় বড় বাজার রয়েছে, বিশেষ করে যেখানে গরিব মানুষজন আসেন বা ব্যবসা করেন, সেখানে এমন মাস্ক ব্যাঙ্ক করা হবে।
সংক্রমণের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর হয়েছে দিল্লি প্রশাসন। কেউ মাস্ক না পরলে তাঁকে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ফাইন দিতে হচ্ছে। জয় প্রকাশ জানিয়েছেন, গরিব মানুষরা অনেক সময়ই মাস্ক কিনতে পারেন না, তাঁদের তেমন সামর্থ্য নেই। এখন মাস্ক না পরে বাজারে এলেও তো ২০০০ টাকা ফাইন দিতে হবে, সেটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এই ব্যাঙ্ক থেকে তাঁরা সাহায্য পাবেন। এখনও পর্যন্ত ১০৪টি মাস্ক ব্যাঙ্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।