বই প্রেমী বাঙালিদের বইমেলার শুভারম্ভ ২৮-শে ফেব্রুয়ারী
বইমেলার মাঠ পরিদর্শনে গিল্ডের কর্তারা, তোড়জোড় শুরু

তিয়াসা মিত্র : আসন্ন কলকাতার বইমেলা নিয়ে পরিকল্পনার জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন গিল্ডের কর্তারা। কি ভাবে এই বারের পুস্তক ভান্ডার সাজিয়ে তোলা যায় তাই নিয়ে চলছে জোর কদমে তোড়জোড়। বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কের মাঠ ঘুরে দেখলেন বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের কর্তারা। রবিবার দুপুর ৩টে থেকে প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা সেখানে ছিলেন। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের কর্তা সুধাংশুশেখর দে জানান, এ বার বইমেলায় ৬০০-র মতো স্টল হচ্ছে। আরও কিছু স্টলের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আরও কিছু স্টলকে জায়গা দেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়টিও এ দিন খতিয়ে দেখা হয়।
প্যাভিলিয়ন হবে, কোথায় লিট্ল ম্যাগাজ়িনের জন্য জায়গা দেওয়া হবে, কোথায় ফুড কোর্ট হবে— সব বিষয় নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়। সুধাংশুবাবু বলেন, “বইমেলা শুরুর সময় পিছিয়ে যাওয়ায় অনেক প্রকাশকই আরও বেশি করে নতুন বই প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। ফলে যে সব প্রকাশক আগে কয়েক জনের সঙ্গে স্টল করতেন, তাঁরাও এখন নিজস্ব স্টল চাইছেন। ফলে অতিরিক্ত বেশ কিছু স্টলের চাহিদা আছে। তবে কোভিড-বিধি মেনেই সব করা হবে।” সেন্ট্রাল পার্কের বর্তমান অবস্থা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন বইমেলার কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী ১০ তারিখ থেকে মাঠে বইমেলার স্টল তৈরির কাজ শুরু হবে। বইমেলা শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ১৩ মার্চ।
কোভিড-বিধি মেনেই এ বারের বইমেলা হবে। এ বার মেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মার্চ মাসের প্রায় মাঝামাঝি পর্যন্ত চলার কথা থাকায় গরম পড়ে যেতে পারে। বৃষ্টিও হতে পারে। তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গিল্ডের কর্তারা। অর্থাৎ কলকাতার আরো এক ঐতিহ্য বইমেলা আবারো ফিরে আস্তে চলেছে বই প্রেমী বাঙালিদের কাছে। এর থেকে বেশি আনন্দের বোধকরি আর কিছু হতে পারে না।