নদিয়ার পুলিশের পাল্টা কৌশলে : যাঁতাকলে হাঁসখালির ধর্ষিতার মা
তদন্তের স্বার্থে CBI এর ডাক নির্যাতিতার বাবা জ্যাঠা কে। এ কেমন পরিহাস !

নিউজ ডেস্ক : CBI এর ডাক পড়লো নদীয়া পুলিশের ডাইরি অনুযায়ী নির্যাতিতার বাবা জ্যাঠা কে। কেন এমন হল এটাই বুঝতে পারছে না নির্যাতিতার মা সহ পাড়া প্রতিবেশী। নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই এফআইআরে ওই দু’জনের নাম রাখা হয়েছে, জানা যাচ্ছে cbi মারফত।
রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছে যে পাল্টা চাপে , কোন ঠাসা করে একটু ভয় পাইয়ে দেবার চেষ্টা করছে। যাতে আগামী সময়ে এই কেস থেকে পিছিয়ে যান। আর এই সময়ের অকাল নিয়মে আইনের ফাঁক বুঝে নীরবে বেরিয়ে আসবে পুরানো অবস্থানে।
নির্যাতিতার মা CBI কে জানান , এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই। এমনকি পুলিশের কাছে তিনি এমন কারও নাম করেননি। সিবিআইয়ের কাছে এ কথা জানার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রচণ্ড বিরক্ত ক্ষুব্ধ ও হতাশ নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন ‘‘পুলিশের পক্ষ থেকে কখনওই আমাকে জানানো হয়নি যে, ওই তিনজনের নাম এফআইআরে আছে।’’
এর পাশাপাশি জেলা পুলিশের এক কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই ওই তিন জনের নাম এফআইআরে রাখা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে পুলিশকর্তার দাবি, নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ওই দিন তাঁর মেয়ের দেহ পোড়ানোর সময় ঘটনাস্থলে স্বামী ছিলেন। ছিলেন তাঁর ভাসুরপো এবং দুই প্রতিবেশী।
যেহেতু দেহ পোড়াবার সময় নির্যাতিতার বাবা , জেঠা ও প্রতিবেশীরা ছিলেন তাই পস্কো আইনের ধারা অনুযায়ী নদিয়ার পুলিশ এদের নামও যুক্তি করেন FIR এ , কারণ খুন ও ধর্ষণের নির্যাতন নাবালিকার ওপর তাই পস্কো আইন অনুযায়ী এই ব্যবস্থা করেছে নদিয়ার পুলিশ। রাজনৈতিক মতামত হল , পুলিশ কি একবারও তদন্ত করে দেখলেন না , নির্যাতিতার বাবা ও জ্যাঠা কে কি কোন চাপ দিয়ে দেহ পোড়াবার সময় জোর করে হাজির করানো হয় কিনা। পুলিশ জানিয়েছে যে নির্যাতিতার মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী এই FIR করা হয়েছিল।